3:21 pm , April 22, 2025

লালমোহন প্রতিবেদক ॥ ভোলা-৩ আসনে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) সাবেক প্রার্থী নুরুন্নবী সুমনের ৭ বছর আগের সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও ফেসবুকে সম্প্রতি ভাইরাল হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনের ভিডিওর বিষয়ে নুরুন্নবী সুমন মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে লালমোহন উপজেলার সবুজবাগে তার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত তিনদিন আগে একটি ফেক আইডি দিয়ে যার নাম “অশ্রু ঝড়া ভালোবাসা” আমার নামে আমার ৭ বছর আগের একটি সংবাদ সম্মেলনের তথ্য এআই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে এডিট করে প্রচার করা হয়েছে। যা আমার নজরে এসেছে। পূর্বের সংবাদ সম্মেলনটি বর্তমানে লালমোহনের অনেকে শেয়ার করেছেন। এই কারণে জনমনে একটা প্রশ্ন আসছে, অনেকে মনে করেছেন এই বক্তব্যটি এখনকার। এই জন্য আমি সকলের জ্ঞাতার্থে এবং সকলকে বিষয়টি পরিষ্কার করছি। আসলে এই বক্তব্যটি ছিলো ২০১৮ এর নির্বাচনের আগের। তখন আমি জাতীয় পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলাম। আওয়ামী লীগের ছিলো নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং বিএনপির ছিলেন মেজর অব: হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। নির্বাচনে মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এলাকায় (লালমোহন-তজুমদ্দিন) না আসায় নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন আমাকে একটি অনুরোধ করে চিঠি পাঠায় সংবাদ সম্মেলন করার জন্য যাতে লেখা ছিলো ‘হাফিজ ভাইকে দেশে এসে নির্বাচন করার জন্য যেনো অনুরোধ করি। তখন আমাদের কেন্দ্র থেকে একটি নির্দেশনা ছিলো আওয়ামীলীগের প্রার্থীর সাথে সমন্বয় করে নির্বাচন করার জন্য। কেন্দ্রের নির্দেশনা এবং নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের অনুরোধে আমি বাধ্য হই সংবাদ সম্মেলন করতে। তখন গভীর রাতে উত্তর বাজারের একটি ঘরে সংবাদিক সম্মেলন করি। সংবাদ সম্মেলনে কি বলবো তা নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন লিখে দিয়েছিলো। যা লেখা ছিলো আমি সেটা পুরো পাঠ করিনি। অনেক কিছু বাদ দিয়ে আমি তখন সংবাদ সম্মেলন করেছি এবং আমার মতো করে হাফিজ ভাইকে দেশে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু আজ প্রায় ৭ বছর পর সেই সংবাদ সম্মেলনের অনেক কথা কাটসাট করে এবং অনেক কথা সংযোজন করে ফেক আইডি দিয়ে আমার সুনাম নষ্ট করা জন্য কে বা কারা ছেড়েছে। যাতে আমি মানুষের ঘৃণার পাত্র হই। ওই প্রচারটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক।
২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের দুইমাস আগে আমি জাতীয় পার্টির সকল ধরনের রাজনীতি থেকে নিজকে সরিয়ে নিয়েছি। আমি এখন রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয়। আমি আমার ব্যবসা বানিজ্যে মনোযোগ দিয়েছি।
পরিশেষে আমি এটুকু বলবো মেজর হাফিজ সাহেব অতীতে আমার নেতা ছিলেন। তাকে কোনা রকম খাটো বা ছোট করে কথা বলা আমার শোভা পায়না। তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবো এটা আসলেই হয়না। তখন আমি এমপি প্রার্থী ছিলাম তারপরও আমি মেজর হফিজকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করিনি।