নেছারাবাদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ৬০ বছরের ভোগ দলীয় জমি দখলের চেষ্টা নেছারাবাদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ৬০ বছরের ভোগ দলীয় জমি দখলের চেষ্টা - ajkerparibartan.com
নেছারাবাদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ৬০ বছরের ভোগ দলীয় জমি দখলের চেষ্টা

3:11 pm , April 16, 2025

গৌতম কুমার, নেছারাবাদ প্রতিবেদক ॥ নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শহিদুল্লাহ মিয়ার ষাট বছরের একটি ভোগ দখলীয় জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় লাল মিয়া সহ একদল ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা চেয়ারম্যানের ভোগ দখলীয় জমিতে গত ৫ আগষ্টের পরে সাইনবোর্ড টানিয়ে জবরদখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এঘটনায় অভিযুক্তদের নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকে বসে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তারা চেয়ারম্যানের পক্ষে রায় দেন। প্রতিপক্ষ লাল মিয়া গ্রুপ তা অমান্য করে এখনো জমি নিজেদের বলে দাবি করছেন।
নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া কাটাখালি গ্রামের বাসীন্দা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শহিদুল্লাহ মিয়া ১৯৬৬ সালে ১৩ একর ৫৯ শতক জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে জমিটি তিনি ভোগদখল করে আসছিলেন। সম্প্রতি, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর স্থানীয় আলাউদ্দীন আলো,লাল মিয়া, আল আমীন, হারুন মিয়া ওয়ারিশ দাবি করে জমিতে কয়েকটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের ছেলে সাইফুল ইসলাম শাহিন প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, শুনেছি ওই জমি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ মিয়া নাকি ক্রয়সূত্রে মালিক। আবার এলাকার একটি পক্ষ ওয়ারিশ সূত্রে দাবি করছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের বিরোধ চলমান।
ভুক্তভোগী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে সাইফুল ইসলাম শাহিন বলেন, জমিটি আমার বাবা  ১৯৬৬ সালে ক্রয় করেন। সেই থেকে আমরা ভোগদখল করে আসছি।
বলদিয়া ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, দলিল, পর্চা, দখল অনুসারে মূলত ওই জমির মালিল সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ মিয়া। আমি তাদের পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। এখন অপর পক্ষ কোন কিছুই মানেনা। চেয়ারম্যানের ছেলেরা আদালতে একটি মামলা করেছেন। এরপরও  ওই পক্ষটি জমির ধান কেটে নিচ্ছে। মূলত তারা খুবই উশৃঙ্খল।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT