চরকাউয়ায় ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো স্বামী নীচে পড়েছিল স্ত্রীর মরদেহ   চরকাউয়ায় ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো স্বামী নীচে পড়েছিল স্ত্রীর মরদেহ   - ajkerparibartan.com
চরকাউয়ায় ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো স্বামী নীচে পড়েছিল স্ত্রীর মরদেহ  

2:53 pm , April 15, 2025

মাত্র এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ পহেলা বৈশাখের সকালে চারিদিকে যখন উৎসব আমেজ ঠিক তখন চরকাউয়া ইউনিয়নের পূর্ব কর্ণকাঠীর হাওলাদার বাড়িতে স্বজনদের আর্তনাদ-আহাজারিতে প্রকম্পিত পুরো এলাকা। ফ্যানের সাথে ঝুলছিল রাহাত হাওলাদার এর লাশ আর নীচে বিছানায় পড়ে ছিলো তার স্ত্রী লামিয়ার মৃতদেহ। দরজা ভেঙে এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী খবর দেয় পুলিশে। গত ১৪ এপ্রিল সোমবার বেলা ১১টায় পূর্ব কর্ণকাঠীর হাওলাদার বাড়িতে প্রবেশ করে দেখা যায় ঘরের ভিতর পড়ে আছে বাড়ির একমাত্র ছেলে রাহাত (৩০) ও তার স্ত্রী লামিয়া (২৫) এর মৃতদেহ। তাদের পাশে বসে আহাজারি করছেন নিহত লামিয়ার চাচী আনোয়ারা বেগম। বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদ করছেন নিহত রাহাতের বাবা-মা ও আত্মীয় স্বজনকে। বাইরে তখন পাড়া-প্রতিবেশীদের ভিড়। সকলের মুখে একটাই কথা – বিনয়ী ও ভদ্র ছেলে ছিলো রাহাত। ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও চমৎকার সুসম্পর্ক ছিলো। তাহলে কি হলো এমন, কেন এমন ঘটনা ঘটেছে?
নিহত রাহাত এর বড় চাচা মহিউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ফজরের নামাজ শেষে ঘরে আসার পর স্বপনের ছোট ছেলে ডেকে বলে, ‘রাহাত ভাইয়ের ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। শত ডাকাডাকি করার পরও দরজা খোলেনা কেউ। দ্রুত ছুটে আসি, নিজেই অনেক সময় ডাকাডাকি করার পর মনে শংকা তৈরি হয়। লোকজন ডেকে দরজা ভেঙে দেখি ছেলে আমার ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। এরপর কে পুলিশ ডেকেছে, ওকে নামিয়েছে তা বলতে পারবোনা। কারণ আমার আর হুশ ছিলোনা।
নিহত রাহাত ওই এলাকার স্বপন হাওলাদারের ছেলে। রাহাতের মা জানান, গতরাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে গভীর রাত পর্যন্ত ছাদে মুরগির খামারে কাজ করে দুজন। পরে কখন ঘুমাতে গেছে তা জানিনা। সকালে সাতটার মধ্যে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায় রাহাত। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সে ওঠেনা, বাইরে গাড়িও রয়েছে। পরে ডাকতে গিয়ে দেখি দরজা খোলেনা। রাহাতের স্ত্রী নিহত লামিয়ার ভাই শাকিল বলেন,  আমার বোন ও ভগ্নিপতির মধ্যে চমৎকার সুসম্পর্ক ছিলো। তবে বোনের শ্বশুর রাহাত এর বাবাও আমার বোনের গায়ে হাত তুলতো। শ্বশুর কখনো ছেলে বউকে মারতে পারে? এরকম অভিযোগে সালিশও হয়েছে ইতিপূর্বে। আমি সকালে খবর পেয়ে যখন ছুটে এসেছি তখন বোনের শ্বশুর এর হাতকাটা ও ব্যান্ডেজ করা দেখেছি। এটা কি করে হয়েছে জানা দরকার। এমনিতেই তাদের উপর আমার ভগ্নিপতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। বাবা-মা বলে কিছু বলতে পারতেন না বলে অভিযোগ করেন শাকিল।
বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়েই ছুটে এসেছি। আপাতদৃষ্টিতে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। নিহত লামিয়ার শরীরে কোনো আঘাতের চিহৃ বা হাতের ছাপ পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT