আজ বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস ও হ্যানিম্যানের জন্মদিন আজ বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস ও হ্যানিম্যানের জন্মদিন - ajkerparibartan.com
আজ বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস ও হ্যানিম্যানের জন্মদিন

4:06 pm , April 9, 2025

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসা বিজ্ঞানী মহাত্মা স্যামুরেল হ্যানিম্যানের ২৭০ তম জন্মদিন আজ। গরীবের চিকিৎসা ও সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি হোমিওপ্যাথিক আবিষ্কার করেন তিনি। জার্মানীর লিপজিগ প্রদেশের কোথেন এর সাক্সানী গ্রামে ১৭৫৫ সালে জন্মগ্রহন করেন। তিনি তৎকালীন এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার সর্বোচ্চ ডিগ্রী গ.উ ডিগ্রীধারী ছিলেন। এ্যালোপ্যাথি নামটি তারই দেওয়া ছিল। হ্যানিম্যানের বাবাও ছিলেন একজন মৃৎশিল্প চিত্রকর। ৫ ভাইবোনদের মধ্যে হ্যানিম্যান ছিলেন ৩য়। হ্যানিম্যানের ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশা ছিল। তিনি ২২ বছর বয়সেই ১১টি ভাষার উপর পারদর্শী ছিলেন। তিনি ১৭৭৫ খ্রিঃ ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর পড়াশুনা করেন। হ্যানিম্যানের মাতা ছিলেন ক্রিশ্চিনা জোহনা। তিনি একজন নামকরা অনুবাদক ছিলেন। ১৭৯০ সালে লাইট কিউর লাইট আবিষ্কার করেন। ১৮১১ সালে মেটেরিয়া মেডিকা পিউরা প্রকাশিত হয়। ১৮১০ অর্গান অব আর্ট হিউম্যান প্রকাশিত হয়।
লিপজিগে পড়াশুনার সময় তিনি জার্মানির ধনী সন্তানদের জার্মান ও হিব্রুভাষা শিখাতেন। ১৮১২ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর থেকে ১৮২১ সাল পূর্ব পর্যন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞান কোর্স করাতেন।
তিনি নিজেই ঔষধ প্রস্তুত প্রুভিং ও প্রয়োগ করেন। তিনি ট্রান্সসেলভিনিয়ার গভর্নরের পারিবারিক চিকিৎসক ছিলেন। ১৭৮৫ সালে তিনি জার্মানীর ড্রেসডেনে আসেন এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। হ্যানিম্যানের শেষ জীবনে অধিকাংশ সময় ২য় স্ত্রী সহ প্যারিসে বসবাস করেন। এবং ১৮৪৩ সালের ২রা জুলাই প্যারিসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্যারিসেই তাকে সমাহিত করা হয়। মৃত্যুর পূর্বে শেষ জীবনে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার প্রমান পাওয়া যায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগনের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীনে একটি সরকারী সহ মোট ৬৬ হোমিওপ্যাথিক কলেজ আছে এবং ১২০০ শিক্ষক সহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ কোটি মানুষ এই সেক্টরের সাথে জড়িত।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT