2:44 pm , March 29, 2025

কাউখালী প্রতিবেদক ॥ কাউখালীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় এক নেতার পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর একটি কাঠের ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাঢ়ীর হাট ও রাঢ়ী বাড়িতে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, রাতে তারা একই এলাকার স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন এর ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার লাগানোর জন্য রাঢ়ীর হাটে যায়। এ সময় কাউখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাসেল রাঢ়ী এবং তার ভাই যুবলীগের নেতা রহমত রাঢ়ীর নেতৃত্বে একদল যুবক তাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এরপর স্থানীয়রা হামলায় আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুইজনকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে রাসেলের ভাই রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন তারা সকলেই ঢাকায় থাকেন। ফেসবুকের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে তার দুই ভাইকে ধরে নেওয়ার জন্য একই এলাকার ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম সুমনের নেতৃত্বে ৮-১০ জন লোক বাজারে এসেছিল। তাদেরকে ধরে নিতে ব্যর্থ হয়ে লোকজন নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করে এবং তাদের একটি খাবার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তবে হামলার অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে রাসেল রাঢ়ীর লোকজন নিজেদের ঘরে নিজেরাই আগুন লাগিয়েছে বলে দাবি তরিকুল ইসলাম সুমনের।
কিন্তু উভয় পক্ষই স্বীকার করেছে যে, অজ্ঞাত একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকায় অবস্থানরত উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। পোস্টার লাগানোর সময় তারা সামনাসামনি হওয়ায় পুনরায় তাদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতরা হলেন : ছাত্রদল নেতা তারিকুল ইসলাম সুমন, জুবায়ের হোসেন, বেল্লাল হোসেন, মোহাম্মদ রিয়াজ ও অটোচালক কাওসার। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস এম আহসান কবির ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এইচএম দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার পোস্টার লাগানোর সময় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের একদল সন্ত্রাসী এই হামলা চালায়। এতে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এদিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলার খবর পেয়ে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ছুটে যান পিরোজপুর জেলা ও কাউখালী উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সোলায়মান বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন। একজনকে আটক করা হয়েছে।