4:45 pm , March 28, 2025

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী প্রতিবেদক ॥ কাউখালীতে পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে এখন জমজমাট দর্জি দোকানগুলো। ব্যস্ত সময় পার করছেন টেইলারিং মাস্টার ও কারিগররা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, টেইলারিং মাস্টার ও কারিগরদের কাটছে নির্ঘুম রাত। রমজানের শুরুতে সেলাইয়ের চাপ একটু কম থাকলেও ১৫ রমজানের পর থেকে দোকানগুলোতে পোশাক সেলাইয়ের অর্ডারের চাপ বেড়েছে। তাই কাটিং মাস্টারের হাত থেকে যেমন কাঁচি পড়ছে না তেমনি মেশিন থেকেও কারিগরদের হাত-পা সরছে না।
উপজেলা সদর রোডের থানার সামনের মিয়া মার্কেটের সজল টেইলার্সের মালিক সজল জানান, কারিগরদের মজুরি, দোকান ভাড়া, সুতা ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় পোশাক তৈরির রেট কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। রমজানের শুরু থেকেই সেলাইয়ের অর্ডার আসতে শুরু করেছে। হাতে প্রচুর কাজ থাকা সত্ত্বেও এখনো অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। সজল টেইলার্সের মালিক জানান, প্রতিটি প্যান্টের মজুরি ৫০০ টাকা, জামা ৪০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৪০০ টাকা, থ্রি পিস ৩০০ টাকা, জর্জেট ৫০০ টাকা করে মজুরি নেওয়া হচ্ছে।
সদর রোডের রূপালী ব্যাংকের সামনের কমফোর্ট টেইলার্সের মালিক হুমায়ুন বলেন, উপকরণের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমাদের বাধ্য হয়ে মজুরি তুলনামূলক বেশি নিতে হয়। কারিগরদের আনুপাতিক হারে মজুরি দেওয়া হচ্ছে। কাজের চাপ বেশ ভালই আলহামদুলিল্লাহ। তাই আমাদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আমরা মেশিনে ও হাতে সেলাইয়ের কাজ করে যাচ্ছি। দিনমজুর শুক্কুর আলী বলেন, টেইলারিং দোকানে জামা প্যান্টের যে মজুরি নেয় তা থেকে আমরা দোকান থেকে রেডিমেট জামা প্যান্ট ক্রয় করতে পারি। পাঞ্জাবি বানাতে আসা মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে মজুরি একটু বেশি নিচ্ছে। আমরা যে মজুরি দেবো ওই টাকা দিয়ে রেডিমেট পাঞ্জাবি ক্রয় করতে পারি। অধিকাংশ টেইলার মালিকরা জানান, বাজারে যেভাবে সবকিছুর দাম বেড়েছে তাতে আমাদের কারিগরদের মজুরি দিয়ে লাভ কম থাকে।