4:59 pm , March 23, 2025

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পিতার মামলা
নেছারাবাদ প্রতিবেদক ॥ পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিক রুবেলের সাথে পালিয়ে গেছে শিক্ষার্থী সাথী মন্ডল। হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে গ্রহণ করেছে ইসলাম ধর্ম। কোর্ট ম্যারেজ করে এখন পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি একটা ভিডিও বার্তায় তাদের পালিয়ে পাওয়া ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার কথা প্রকাশ করেছেন ফেইসবুকে। বাবা নিখিল মন্ডলের দাবি, রুবেল জোর করে তুলে নিয়ে গেছে সাথীকে। সাথীর বাবা গত মঙ্গলবার পিরোজপুর কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ঐ ঘটনা ঘটে। রুবেল দৈহারী ইউনিয়নের বাশতলা রুহুল হাওলাদারের ছেলে। সাথী ১নং ওয়ার্ড নিখিল মন্ডলের মেয়ে। কথায় আছে প্রেম মানেনা কোন বাঁধন শোনে না কোন শাসন। প্রেমের টানে বাবা মাকে ত্যাগ করে বিয়ের একদিন পূর্বে প্রেমিক রুবেলের সাথে পালিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নিখিল মন্ডলের মেয়ে সাথী মন্ডল। মুসলিম ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে বাবা নিখিল মন্ডল প্রবাসী ছেলের সাথে মেয়েকে বিয়ে ঠিক করেন। কিন্তু বিয়ের একদিন পূর্বে প্রেমিক রুবেলের সাথে পালিয়ে যায়।
সরেজমিনে গেলে বাবা নিখিল মন্ডল জানায়, আমার মেয়ে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে ভালো রেজাল্ট করেছে একটা মাত্র মেয়ে ইচ্ছে ছিল মেয়েটাকে লেখা পড়া করিয়ে অনেক বড় করবো, একদিন চাকরি করবে সেটা আর হলোনা। স্কুলে যাতায়াতের সুবাদে রুবেল আমার মেয়েকে বিরক্ত করতো প্রেমের প্রস্তাব দিতে। এটা নিয়ে এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান মিলে একাধিকবার বৈঠক করেছি কিন্তু রুবেল আমার মেয়েকে বিরক্ত করেই যেতো। তাই আমি বাধ্য হয়ে মেয়ের বিয়ে ঠিক করি। পাকা কথা পাকা দেখার একদিন পূর্ব লোকজন নিয়ে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে নিয়ে যায় এবং জোর করে ধর্মান্তরিত করিয়ে বিয়ে করেছে। সাথীকে তুলে নিয়ে গেছে ১২তারিখ কিন্তু কোর্ট ম্যারেজ একটা কাগজ দেখলাম সেখানে লেখা লেখা ১৯ এপ্রিল ২০২৪। এটা একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সাথি মন্ডল এর মা বিভা মন্ডল কেঁদে কেঁদে বলেন,আমার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। আমার ভাইকে কল দিয়ে রুবেল বলে তোমার মেয়ে নিয়ে এসেছি পারলেনা আটকাতে, তখন মেয়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে বলছিলো মামা আমাকে নিয়ে যাও আমাকে জোরকরে আটকিয়ে রেখেছে মারধর করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুবেল হাওলাদার বলেন, আমরা দুজন দুজনাকে ভালোবাসি আমি মুসলিম ধর্মের আর ও হিন্দু ধর্মের আমরা জেনে বুঝেই সম্পর্কে জড়িয়েছি।ওর পরিবার আমাদের মেনে না নেয়ার কারনে আমরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছি। মেয়ে সাথী মন্ডল ধর্মান্তরিত নাম রাইসা আক্তার এক ভিডিও বার্তায় বলেন….
এ বিষয়ে দৈহারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহারুল ইসলাম বলেন, ঐ সাথী রুবেলের বিষয় নিয়ে আমি পরিষদে বৈঠক করেছি মেয়ের বাবা এবং ছেলের বাবাকেও বলে দিয়েছি পরবর্তীতে এটা নিয়ে যেন আর বসতে না হয়। পরে শুনি তারা দুজনেই পালিয়েছে।