3:11 pm , March 20, 2025

গৌরনদী প্রতিবেদক ॥ গৌরনদী উপজেলার হাট-বাজারের ইজারার ফরম কিনতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ করার বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খোকন ফকির ও তার সহযোগীরা হামলা চালিয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনির বিশ্বাস ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মামুন সরদারকে হাতুড়িপেটা করেছে। তাদেরকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্র ক্রয়ের শেষ দিন ছিল ১৯ মার্চ। এ দিন ফরম কিনতে গেলে উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার ক্যাডাররা ফরম কিনতে বাধা দেয়। এ নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে গত কয়েকদিন ধরে সরিকল ও বাটাজোর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। গত বুধবার রাতে বাটাজোর এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপি নেতার সমর্থকদের হামলায় গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনির বিশ্বাস ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মামুন সরদার জকশ হয়।
ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মামুন সরদার অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়কের নির্দেশে বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খোকন ফকির দরপত্র ফরম ক্রয় করতে বাধা প্রদান করে আসছিলো। আমি এর প্রতিবাদ করায় এনিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে খোকন ও তার সহযোগিরা পরিকল্পিতভাবে আমাকে ও মনির বিশ্বাসকে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি পেটা। স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনির বিশ্বাস বলেন, দরপত্র ফরম কিনতে গেলে বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খোকন ফকির ও তার সহযোগিরা বাধা দেয়। এর প্রতিবাদ করলে বুধবার দুপুরে তাদের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি ও বিরোধ তৈরী হয়। বুধবার রাত ৯টার দিকে বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে বিএনপি নেতা খোকন ফকির আমাকে ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মামুন সরদারকে ডেকে নিয়ে মারধর করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খোকন ফকির বলেন, কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে তা আমার জানা নেই। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। হামলার ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইউনুস মিয়া বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।