3:58 pm , March 18, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মী ও আয়না ঘরের বৈদ্যুতিক দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি করে শত কোটি টাকা উপার্জন করেছেন সেগুন বাগিচা গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-২ এর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার। এমন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বেলা বারোটায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৬৫)। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার হানুয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে। আর অভিযুক্ত প্রকৌশলী আবুল বাশার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আলী হোসেন হাওলাদারের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে কুদ্দুস মিয়া বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ির আয়না ঘরের বৈদ্যুতিক দায়িত্বে ছিলেন উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল বাশার। আ.লীগের প্রভাব বিস্তার করে এই আবুল বাশার আমার এবং আমার বোনের ৭০ শতাংশ ও অন্যান্য প্রতিবেশীদের জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে।
এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে গত ১২ মার্চ বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ তথা স্পেশাল জজ আদালতে আবুল বাশারসহ ৪ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করি। অপরদিকে হানুয়া গ্রামের বাসিন্দা খালেক মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন মিয়া বাদী হয়ে গত জানুয়ারী বরিশাল অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে আবুল বাশারসহ ৬ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
অবৈধভাবে আবুল বাশার তার বাবার নামে বাকেরগঞ্জের হানুয়া গ্রামে সূর্য ইটভাটা চালু করেন। যেটি বর্তমানে এ.এইচ ব্রিকস নামে পরিচিত। গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। ঢাকায় ৫ তলা ভবন, নামে বেনামে রয়েছে প্লট, নিউ মার্কেট সোনার দোকান সহ নানা ব্যবসার সাথে জড়িত ।
আবুল বাশার আ.লীগ শাসনামলে ৭নং করাই ইউনিয়ন আ.লীগের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। আ.লীগের মিছিল মিটিং এবং জনসভায় অর্থ দিয়ে সহায়তা করছিলেন। ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এলাকায় এসে আ.লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক এর পক্ষে প্রভাব খাটিয়ে ভোট কারচুপিতে সহায়তা করেছিলেন।
৫ আগস্টের পর কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে বর্তমানে বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়ে টাকা খরচ করছে ও বিএনপি নেতাদের সাথে সেলফি তুলে নিজকে বিএনপির কর্মী হিসেবে জাহির করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আবুল বাশার বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক এ সব চলছে। আর আমি কখনও আয়না ঘরের বৈদ্যুতিক দায়িত্বে ছিলাম না। চাকুরি জীবনে যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সেই সরকারের নির্দেশনা মেনে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।