2:59 pm , March 16, 2025

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বরিশালে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে গাছের সাথে বেধে পিটিয়ে হত্যার সাথে জড়িতদের নামেও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিবার। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করলে পুলিশ তা গ্রহণ করবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শনিবার বিকেলে বরিশাল নগরীর ধান গবেষনা রোডের জিয়া নগর এলাকায় সুজন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। যুবকটি একটি শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি।
পুলিশ ইতিমধ্যেই নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে সাদ্দাম, বাচ্চু, কাইয়ুম, বাধন, হিমন, নাঈমসহ আরো ৮ জন। এদের ধরতে পুলিশের র্যাকি শুরু হয়েছে। স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে নিজ এলাকায় মাদক বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এ হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের কয়েকজন ঐ এলাকায় ইয়াবাসহ অন্য মাদকের ব্যবসা করে।
রোববার সকালে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেয়া হয়। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশ ঘরের সামনে গতকালকেও দেখা গেছে স্বজন হারাদের আর্তনাদ। এসময় স্বজনরা জানান ধর্ষণ এর অভিযোগের পর স্থানীয় কতিপর যুবক তাদের কাছে এলে তারা মেডিকেল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। এসময় যুবকরা টাকা দাবি করে।
ঘটনার আগের দিন বিকেলের পর সুজন এলাকায় এলে স্থানীয় সাদ্দাম, বাচ্চু, কাইয়ুম, বাধন, হিমন, নাঈমসহ আরো কয়েকজন সুজনকে ধরে একটি চরে নিয়ে গাছের সাথে বেধে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহত যুবকটি অটোরিকশা চালক মনির হাওলাদারের ৯ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়।
এ ঘটনায় ঐ এলাকায় যে কোন উত্তেজনা দমনে বসানো হচ্ছে পুলিশ চৌকি। বরিশালের পুলিশ কমিশনার বলেন, মামলা দায়েরের পর আসামি ধরতে পুলিশ যখন পথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তখনই হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশ কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর ঠিক যে মুহূর্তে পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে নামছিলো তখনই এ হত্যার ঘটনা ঘটে। আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। নিহতের পরিবার হত্যা মামলা দায়ের করতে এলে তা গ্রহণ করা হবে এবং মামলা দায়েরের সাথে সাথে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
ইতিমধ্যে স্থানীয় মাদক সম্রাটরা এক হয়ে পুরো বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য মাঠে নেমেছে বলে খবর এসেছে।