4:47 pm , March 14, 2025

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার অন্যতম বাতিঘর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদটি ইতোমধ্যে ধর্মীয় মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি মাহে রমজানে তারাবীর জামাতে বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী এ বিশাল মসজিদে এক ছাদের নীচে নামাজ আদায় করছেন। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে এক মনোরম পরিবেশে ক্যাম্পাসে বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা- কুয়াকাটা ও বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের পাশে এ মসজিদটি প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক যাত্রীর নজর কাড়ে। শুধু বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীই নয় তিনতলা এ মসজিদটিতে বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসীও জামাতে নামাজ আদায় করছেন। নামাজ আদায় ছাড়াও এ মসজিদে ঈমান ও আকিদার ওপর বয়ান সহ জুম্মার নামাজের আগে খুতবা পূর্ব বয়ানেও বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী ইসলামের বিধান শুনে আল্লাহর রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করেন।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, তারই আওতায় প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত তিনতলা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের প্রতিটি তলায় অজুখানা সহ শৌচাগার এবং ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের জন্য বিশ্রাম কক্ষও নির্মিত হয়েছে। আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম সম্বলিত প্রতি তলায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের এ মসজিদে একই সাথে প্রায় পাঁচ হাজার মুসুল্লী নামাজ আদায় করতে পারছেন।
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংমিশ্রনে আধুনিক নকশায় নির্মিত মসজিদটি সহজেই সবার নজর কাড়ে। কংক্রিট ঢালাইয়ের ওপর আধুনিক টাইলস সম্বলিত মসজিদটি সবার দেহ ও মনে প্রশান্তি ছড়িয়ে দেয়। পুরো মসজিদটির বহিরাবরনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অবকাঠামোর মত করেই টাইলসে মোড়ান।
সুন্দর পরিপটি এ মসজিদে গতকালও (শুক্রবার) বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী রমজানের দ্বিতীয় জুমার নামাজ আদায় করেন। জুমার নামাজের খুতবার পূর্বে বয়ানে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের খতিব রমজানের অধ্যাবসায়কে অনুসরন করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশিত পথে চলার জন্য মুসুল্লীদের প্রতি আহবান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহরাব হোসেন বলেন, ‘মসজিদ আল্লাহর ঘর, এখানে নামাজ আদায়ে প্রশান্তিই আলাদা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীই আল্লাহর এ ঘরকে সম্মান করে থাকি। মন খারাপ হলে এ ঘরে নামাজ আদায় বা সময় কাটালে মনে প্রশান্তি ফিরে আসে। পড়াশোনার অনেক চাপে যখন শরীর ও মনে কখনো ক্লান্তি বা অস্বস্তি দেখা দেয়, তখন আল্লাহর ঘরে ইবাদত বন্দেগী সহ সময় কাটালে সব বিরূপ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মেলে। এমনকি এ মসজিদকে কেন্দ্র করেই শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসীর একটা মেলবন্ধনও তৈরী হয়েছে।