5:31 pm , March 13, 2025

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ কেউ খালের ভিতরের মাটি কেটে নিয়ে গভীর করছে খাল। ফলে ভেঙে পরছে দুপাশের ফসলী জমি। আবার কেউ খালের মধ্যে পল্টুন বসিয়ে সেই পল্টুনে ড্রেজার চড়িয়ে কেটে নিচ্ছে আশেপাশের কৃষকের জমির মাটি। আবার কোথাও গ্রামের ভিতরে ফসলী জমি ও বাড়িঘর উপেক্ষা করে পাশাপাশি দুটো ইটের ভাটা গড়ে উঠেছে পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই। এই ইটভাটার ধোয়া ও আগুনের তাপে আশেপাশের ফসল, আম-জাম, কলা ও নারিকেল গাছ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রতিকার নেই কোনো। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের হাহাকার কখনোই পৌঁছেনা জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের কানে।
গত ১০ মার্চ বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের হিজালতলায় দোলা ব্রিকস ফিল্ড ও চরকাউয়া ইউনিয়নের ঘোপেরহাটে এইচ বি ব্রিকস ফিল্ডে অভিযান পরিচালনা করেছে বরিশালের জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ দপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। দুটি ইটভাটার মালিকই পলাতক আওয়ামী লীগের নেতা। তাদের অনুপস্থিতিতে স্থানীয় বিএনপি এখন দেখাশুনা করছে বলে জানান এলাকাবাসী। চাঁদপুরা ইউনিয়নের গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের লোকেরা চিমনিটি ড্রেজার দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে যায়। তারাতো ওটি গুড়িয়ে দিয়ে চলে যেতে পারতেন। তা না করে কয়েকটি কাঁচা ইট ভেঙে দিয়ে যায়। তারা চলে যাওয়ার একটু পরেই ওগুলো আবার ঠিকঠাক হয়ে পুনরায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। গ্রামের মধ্যে ফসলী জমি নষ্ট করে এরকম ইটভাটার অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন একাধিক গ্রামবাসী।
এই ইটভাটার আগুনে শুধু গাছপালাই নয়, হুমকির মুখে ঘরবাড়ি এবং পশুপাখির নিরাপদ আশ্রয়। অন্যদিকে উজাড় হচ্ছে ফসলি জমি। কৃষকের জমির মাটি কেটে বদলী জমি নিতে বাধ্য করার অভিযোগ অনেক ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীর অভিযোগ নিয়ে তাদের কাছে গেলে মালিক পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের কেনা জমিতে আমরা মাটি কাটছি। অন্যের জমিতেতো যাইনি। আর এভাবে ফসলি জমি উজার হতে দেখেও নিরবতা পালন করছে বরিশালের পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। জেলায় ৫০০ প্রায় ইটভাটার বেশিরভাগ অবৈধ স্বীকার করলেও কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে মৌখিক ছাড়পত্র দেয়ার বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বয়ং ইটভাটা মালিকদের কয়েকজন স্বীকার করেছেন, প্রতিটি অবৈধ ইটভাটা থেকে অবস্থান ভেদে ১ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সালামী নেন বরিশালের পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অনুসন্ধানে এমন অভিযোগ উঠে এসেছে বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝারা ও উজিরপুর এলাকার ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইটভাটা মালিক বেশকিছু প্রমাণপত্র দেখিয়ে বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক এসে ১ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। আরো ১ লাখ দেয়ার নোটিশ দিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। আশেপাশের আরো পাঁচটি ইটভাটা থেকেও সেদিন টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিগত বছরে সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের তালুকদার হাটের একটি রেস্তোরাঁয় ইটভাটা মালিকদের সাথে হাঁস রুটি পিঠার নিমন্ত্রণ রক্ষা করেছেন পরিবেশ দপ্তরের বেশ কয়েকজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
এদিকে সরেজমিনে ১২ মার্চ বুধবার সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুরা, তালুকদার হাট, ঘোপের হাট ও চরকাউয়া ইউনিয়নের পূর্ব কর্নকাঠী ও চরকারঞ্জী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ইটভাটার ভয়ঙ্কর আগ্রাসন। এখানে ঘোপের হাট, চরকারঞ্জী, রাণীরহাট সংযোগ খালটি এখন নদীতে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যেসব এলাকায় ইটভাটা হচ্ছে, তার আশেপাশে ফলজ বৃক্ষের ফলদান ব্যহত হচ্ছে। কয়লার পাশাপাশি অবাধে ব্যবহার হচ্ছে গাছ। আর এইসব ইটভাটার বেশিরভাগই অবৈধ বলে দাবী পরিবেশবিদদের। চরকারঞ্জী ও কর্ণকাঠী গ্রামের ভিতরে ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় পাশাপাশি দুইটি ইটভাটা নষ্ট করছে সামাজিক পরিবেশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। হেরিংবন ও মাটির সড়কে মাটি বোঝাই ট্রাকের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক। গ্রামবাসী প্রতিবাদ বা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেই তেড়ে আসছে মাস্তান বাহিনী। তারা সবাই আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছিলেন, এখন রাতারাতি বিএনপির নেতাকর্মী বলে পরিচয় দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামীসহ বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা তাদের পক্ষে। ফলে প্রশাসনেও সবাই এখন তাদের লোক বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বরিশাল সদরের চরকাউয়া ইউনিয়নের পূর্ব কর্ণকাঠী গ্রামের বাসিন্দারা। এখানে ইটভাটা ফাইভ স্টার ও মিলি এর মালিক মিলন হাজী ও সজীব মৃধাসহ আরো কয়েকজন নেতা শ্রেণির লোক।
একই অভিযোগ জানান চরকরঞ্জী থেকে ঘোপের হাট ও তালুকদার হাট এলাকার বাসিন্দারা। সেখানে রচি ও রূপা ব্রিকস ফিল্ডের দৌরাত্মে তালুকদার হাট থেকে ঘোপের হাট হয়ে বৈরাগবাড়ি সড়কের উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এমনকি মূল রাস্তার নকশা পর্যন্ত বদলে দিয়েছে এই রচি ব্রীক ফিল্ড। সাইফুল ইসলাম দুলাল হাওলাদার নামের প্রভাবশালী নেতা এই ব্রিক ফিল্ড এর মালিক। তিনি বরিশালের সাবেক এসি ল্যান্ডের সাথে সমঝোতা করে এই কাজ আটকে রাখার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, এখানে খাল পার সংলগ্ন সব জমি এখন তার ও রূপা ব্রিকস এর মালিক কবির ফকিরের ছেলে মিজান ফকির। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খালের ভিতর পল্টুন বসিয়ে ড্রেজার দিয়ে দুই পাশের কৃষকের জমি কেটে নিচ্ছে বলে জানালেন রচি ব্রিকস সংলগ্ন এলাকার মৃধা ও হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দারা।
গ্রামবাসীর অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেল খালপাড় ধরে একটু হাঁটতেই। ইটভাটার জন্য মাটি কেটে কেটে কয়েকটি স্থানে খালের আকৃতি বদলে দিয়েছেন এই ইট ব্যবসায়ীরা। দিনেদুপুরেই খালের ভিতর পল্টুনে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটতে দেখা গেল।
তাদের সম্পর্কে জানার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে ফোন করলে জেলা সহকারী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ জানালেন, গ্রামবাসীর কোনো অভিযোগ এখনো তার সামনে আসেনি। কয়েকদিন আগেই তিনি ফাইভ স্টার ভেঙে দিয়ে এসেছেন।
সাইফুদ্দিন আহম্মেদ আরো বলেন, আমরা বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে আসার পর তারা আবারও কীভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছে এটা বুঝতে পারিনা।
অথচ চাঁদপুরা ও চরকাউয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা লিখিত অভিযোগ দিয়ে পরিবেশ ও জেলা প্রশাসনের সাহায্য চাওয়ার আবেদন কপি দেখালেন। যেখানে জেলা প্রশাসনে জমা দেওয়ার সিল সাক্ষর রয়েছে।
এসব ইটভাটা বৈধ না অবৈধ তা জানেন না গ্রামবাসী। তবে ২০১৯ সালে সংসদে পাসকৃত বাংলাদেশ সরকার ইটভাটার জন্য যে নীতিমালা প্রনয়ণ করেছে তা মানা হচ্ছে কিনা সেটাও তদারকি হয়না বলে অভিযোগ অনেকের।
নীতিমালায় বলা হয়েছে – প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে কোনো ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করবার উদ্দেশ্যে মজা পুকুর বা খাল বা বিল বা খাঁড়ি বা দীঘি বা নদ-নদী বা হাওর-বাঁওড় বা চরাঞ্জল বা পতিত জায়গা হইতে মাটি কাটিতে বা সংগ্রহ করিতে পারিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, ইটভাটার লাইসেন্সের জন্য আবেদনপত্রে প্রস্তাবিত ইটভাটার মালিক কর্তৃক ইট প্রস্তুতের মাটির উৎস উল্লেখপূর্বক হলফনামা দাখিল করিতে হইবে। উপধারা (৩) এ পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে – “ইটের কাঁচামাল হিসেবে মাটির ব্যবহার হ্রাস করার উদ্দেশ্যে সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ইটভাটায় উৎপাদিত ইটের একটি নির্দিষ্ট হারে ছিদ্রযুক্ত ইট ও ব্লক প্রস্তুতের জন্য নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।”
কিন্তু বরিশালের চরকাউয়া, চাঁদপুরা, সাহেবের হাট, চরমোনাই, টুঙ্গিবাড়িয়ার পতাং, বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দির সঠিখোলাতে খালের পাড়ে ও আবাদি জমিতে গড়ে ওঠেছে অর্ধশত ইটভাটা। এগুলো অবাধে খালপাড় থেকেই মাটি কেটে নিচ্ছে। আর এসব ইটভাটাগুলোতে অবাধে পুড়ছে কাঠ।
সদর উপজেলার কৃষি অফিসার উত্তম ভৌমিক নিজেও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শুধুমাত্র ছাড়পত্রের প্রয়োজনে আমাদের সামান্য ভূমিকা। অন্য কোনো কিছুতেই আমাদের কোনো গুরুত্ব নেই বলে জানান তিনি। গ্রামীণ জনপদে রচি, রূপা, মিলি, ফাইভ স্টার, লোপা, এইচবি ইত্যাদি ব্রিকস ফিল্ডের আদৌ কোনো ছাড়পত্র আছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ পোষণ করেন এই কৃষি কর্মকর্তা। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, বরিশালের ১০ উপজেলার ৫০০ এর অধিক ইটভাটা এখন। তবে পরিবেশ দপ্তর বলছে, ৩৫০ এর বেশি হবে। এর মধ্যে ৫০/৬০টির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে। বাকী একটিরও কোনো ছাড়পত্র নেই। আর ২৮টি জিগজ্যাগ কিলন পদ্ধতির চিমনির ইটভাটা বাদে বাকি সবগুলোতেই অবৈধভাবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে বলে স্বীকার করেন পরিবেশ দপ্তরের একজন কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরো বলেন, যারা কয়লা ব্যবহার করছে তা অত্যন্ত নি¤œমানের কয়লা। সেটাও আবার ব্যবহার না করে সাজিয়ে রাখা হয়। কারণ আমাদের অভিযান পরিচালনার সংবাদ এরা আগেই জেনে যায়, আপনাদের সাংবাদিকদের একটি অংশও এই ইটভাটা মালিকদের ঘনিষ্ঠ। এটা জেনেও না জানার ভান করে আছে আমাদের প্রশাসনের লোকেরা।কারণ, প্রভাবশালী এসব ইটভাটা মালিক মূহুর্তেই বদলী ঘটাতে পারেন আমাদের যেকোনো কর্মকর্তাদের অবস্থান বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই অতিরিক্ত সহকারী পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মাসে জেলার ইটভাটাগুলোতে ১১ লাখ ৮০ হাজার মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এ হিসাব পরিবেশ দপ্তরে থাকার পরও ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ খুব একটা চোখে পড়েনা কখনোই।
চরকারঞ্জী হাইস্কুল সংলগ্ন বাসিন্দারা বলেন, এখানের প্রায় প্রতিটি ইট ভাটার মধ্যে রয়েছে গাছ কাটার করাত কল। এদের জমির পরিমাণ দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশপাশের বাসিন্দাদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের জমি কিনে নিচ্ছে। অন্যদিকে এসব ইটভাটার মালিকরা খালপাড় সংলগ্ন সাধারণ মানুষের ফসলি জমি কেটে খালের সাথে মিলিয়ে নদী আকৃতি করে এটিও খালের অংশ বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা অনেক জমির মালিক।
তালুকদার হাট স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম জানান, এসব ইটভাটার কারণে একদিকে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে অন্যদিকে অক্সিজেন কমে কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। আর যাইহোক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়তো ইটভাটা হওয়া উচিত নয়। অতীতের দোহাই দিয়ে বর্তমানকে দূষিত করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ এই শিক্ষক নেতার।
এদিকে জেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ইতিপূর্বে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সাধারণত ইটভাটার মালিকরা ইটভাটা প্রস্তুত শেষে কৃষি অফিসে ছাড়পত্র নেয়ার জন্য আসে। কিন্তু বরিশালে কেউই আমাদের কাছে ছাড়পত্র নিতে আসেনি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল জেলার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ জানালেন, জেলায় সাড়ে তিনশত বা কিছু বেশি ইটভাটা রয়েছে। শুধু সদর উপজেলায় রয়েছে ৩৫টির বেশি। তিনি আরো বলেন, তার জানামতে জেলায় প্রায় আড়াই হাজার ইটভাটা রয়েছে। বাকেরগঞ্জ, আগৈলঝারা, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জে ইটভাটার সংখ্যা বেশি। অথচ এসব এলাকায় সবমিলিয়ে ১০-১২টি ইটভাটার ছাড়পত্র দেয়া আছে। শুধুমাত্র হিজলা আর সদর উপজেলা নয় এ চিত্র বরিশালের প্রতিটি উপজেলায়। কর্মকর্তারা সঠিক জানেন না কতটির বৈধ ছাড়পত্র রয়েছে জেলা বা বিভাগে। ফোন করলে বলেন, তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করুন। আর মুখোমুখি হয়ে পরিবেশ, বন ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সংশ্লিষ্ট সবাই, এমনকি জেলা প্রশাসকও বলেন, দেখছি। এখুনি ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে। কার্যত কোনো ব্যবস্থাই আর দেখা যায়নি বিগত পনের বছর। তবে তাদের পকেটে ভারী হবার প্রচুর গল্প প্রচলিত বরিশালের ইটভাটা মালিকদের মুখে মুখে।