শহীদ সেলিমের স্ত্রী-কন্যার পাশে জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শহীদ সেলিমের স্ত্রী-কন্যার পাশে জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ - ajkerparibartan.com
শহীদ সেলিমের স্ত্রী-কন্যার পাশে জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ

4:33 pm , March 10, 2025

ঝালকাঠী প্রতিবেদক ॥ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ হওয়া ঝালকাঠির সেলিম তালুকদারের নবজাতক কন্যার পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঝালকাঠির একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তার স্ত্রী সুমি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান দুনিয়ার আলো দেখতে পায় কিন্তু সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারেননি সেলিম তালুকদার।  মৃত্যুর ৭মাস ৭দিন পর শহীদ সেলিমের উত্তরাধীকার আসলো পৃথিবীতে। নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে রোজা। কষ্টের মাঝেও এখন আনন্দের বন্যা বইছে এ পরিবারে। রবিবার দুপুরে শহীদ সেলিম তালুকদারের স্ত্রীর হাতে উপহার তুলে দেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান এবং পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়। এছাড়া জামায়াতের পক্ষ থেকেও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
সোমবার দুপুরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু সেলিম তালুকদারের নবজাতক সন্তানকে দেখতে যান। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠির নেতা  শাহীন আলম, আব্দুল্লাহ ওমর, আবু হানিফ, নাজমুল হাসান টিটু, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, মো. মাহাবুব মিয়া নবজাতককে দেখতে আসেন। দুপুর দেড়টার দিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নবজাতক শিশুকে শুভেচ্ছা জানাতে যান।
ঝলকাঠি শহরের একটি ক্লিনিকে শনিবার রাত ৮টায়  সিজারিয়ান আপারেশনের মাধ্যমে সেলিম ও সুমি দম্পতির সন্তান দুনিয়ার আলো দেখতে পায়। গেলো বছরের ৮ আগস্ট ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ধরা পড়ে সেলিমের স্ত্রী সুমি আক্তার আড়াইমাসের অন্ত:সত্ত্বা। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা সেলিম তালুকদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৩১জুলাই ঢাকায় নিহত হন।
তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সেলিম ছিলেন মেজো। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। গত ১৮ জুলাই কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩১ জুলাই রাতে তার মৃত্যু হয়।
ছেলের শোকে এখনো কাতর মা সেলিনা বেগম বলেন, এখন যদি সেলিম বেঁচে থাকতো তাহলে প্রথম সন্তান, কত আনন্দ পেতো। তা সেলিমের ভাগ্যে নেই।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের চিকিৎসার পেছনে প্রায় ১৮ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। ধারদেনা করে এসব টাকা জোগাড় করেছি। সেই টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। আমরা চাই আমার ছেলেকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হোক।’
নিহত সেলিমের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা শহরের টিঅ্যান্ডটি এলাকায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস লিমিটেডের সহকারী মার্চেন্ডাইজার পদে চাকরি করতেন। মারা যাওয়ার এক বছর আগে ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি মুসলিমপাড়া এলাকার মতিউর রহমান চুন্নুর মেয়ে সুমিকে বিয়ে করেন সেলিম।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT