3:01 pm , March 8, 2025

চরফ্যাশন প্রতিবেদক ॥ চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারগুলোতে উঠেছে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ। ব্যবসায়ীরা দোকানগুলোতে তরমুজ সাজিয়ে রেখেছেন। চলছে হাঁকডাক বেঁচা-কেনা। তরমুজের ফলন ভালো হলেও দাম কমেনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৫৫০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে। বিগত দিনগুলোর থেকে এবছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই কৃষকরাও ব্যবসায়ীদের কাছে ন্যায্য দাম পাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে মাঠজুড়ে যেসব তরমুজ রয়েছে তাতেও কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবেন। শনিবার সরেজমিন চরফ্যাশন সদর রোডে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা সারি সারি করে তরমুজ সাজিয়ে রেখেছে। ৩শ থেকে ৭শ টাকা পর্যন্ত দামের তরমুজ রয়েছে ব্যবসায়ীদের কাছে। ক্রেতারা কেউ কেউ দাঁড়িয়ে দেখছেন। কেউ আবার তরমুজ দামাদামি করছেন।
তরমুজ কিনতে আসা মেহেদী বলেন, বাজারে আগাম তরমুজ উঠলেও দাম অনেক বেশি। যে তরমুজ ১শ থেকে ২শ টাকায় কেনা যেত সেই তরমুজের দাম ৫শ থেকে ৭শ টাকা। রোজায় তরমুজ খাওয়ার ইচ্ছে হলেও দাম বেশি হওয়ার কারণে অনেকেই তরমুজ কিনতে পারছে না।
অটোরিকশা চালক মজিদ মুন্সি বলেন, চোখের সামনে আগাম জাতের নতুন তরমুজ ফল দেখে ছেলে-মেয়েদের জন্য কিনতে ইচ্ছা হলেও দাম বেশি। তাই কিনতে পারছি না। যখন দাম কমবে, তখন কিনবো। ছোট একটি তরমুজ কিনতে চাইলেও ২শ থেকে ৩শ টাকা লাগবে। সারাদিনে আয় যা হয়, তা দিয়ে চাল-ডাল কিনবো নাকি তরমুজ কিনে খাব।
তরমুজ ক্রেতা হালিম বলেন, মেয়ে বায়না ধরায় বাজারে তরমুজ কিনতে এসেছি। বাজারে এসে দেখছি যেসব তরমুজ রয়েছে তা অপরিপক্ব এবং দাম বেশি। লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকে অপরিপক্ব তরমুজ বাজারে নিয়ে আসছে।
এদিকে রমজানে রসালো ফল তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ক্রেতারা। প্রশাসন যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে তাহলে তরমুজসহ বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
দাম এতো বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তরমুজ বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন যেসব তরমুজ উঠেছে সেগুলো আগাম জাতের তরমুজ। এ কারণে তরমুজের দাম একটু বেশি। তারপর আবার রমজান মাস চলছে। তাই তরমুজের চাহিদাও বেড়ে গেছে। রোজার পর হয়তো তরমুজের এতো দাম থাকবে না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমাদুল হোসেন বলেন, খুব দ্রুতই তরমুজ এর বাজার মনিটরিং করা হবে। অতিরিক্ত মূল্যে কেনো ব্যবসায়ী যদি তরমুজ বিক্রি করে তাহলে ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।