4:46 pm , March 4, 2025

চরফ্যাসন প্রতিবেদক॥ ভোলার চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচা থানার পর্যটন দ্বীপ চর কুকরী-মুকরী ইউনিয়নের কৃষকের ক্ষেতে তরমুজ চুরি করার সময় হাতেনাতে আরাফাত নামে এক চোর চক্রের সদস্যকে আটক করা হয়। পরে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার পরিবারের সদস্যরা। এসময় চোর পরিবারের সদস্যদের হামলায় তরমুজ খেতের মালিকের পরিবারের নারীসহ ৪জন আহত হয়। সোমবার রাত ১০টায় চর কুকরী-মুকরী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে কৃষক সোহেলের আবাদ করা তরমুজ ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন : সোহেল ,তার শ^শুর আমির হোসেন, শ্যালক রকিব, শ^াশুড়ী নাজমা বেগম।
আহত কৃষক সোহেল জানান, তিনি চর কুকুরী-মুকরী ইউনিয়নের তার শ^াশুর বাড়ির এলাকায় অন্যের প্রায় ১০ একর জমি লগ্নি করে চলতি মৌসুমে তরমুজ আবাদ করেছেন। আগাম জাতের তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তার ক্ষেতের আবাদ করা তরমুজ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলো অজ্ঞাত চোর। তরমুজ ক্ষেতে চোরের উপদ্রব ঠেকাতে তিনি টং ঘর নির্মান করে পাহারা বসান। সোমবার রাতে ওই ইউনিয়নের হেনজে আলীর ছেলে আরাফাত ও রিপন সওদাগর নামের দুই যুবক তার ক্ষেতে ঢুকে তরমুজ কাটতে শুরু করে। বিষয়টি তিনি বুঝতে পেরে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চোরদের ধাওয়া করেন। এসময় চোর রিপন সওদাগর পালিয়ে গেলেও তাদের হাতে ধরা পড়েন আরাফাত। আরাফাতকে তরমুজ চুরির সময় আটকের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামজুড়ে হৈচৈ শুরু হয়। খবর পেয়ে তার বাবা হেনজে আলী সংঘবদ্ধ হয়ে তার ছেলেকে ছিনিয়ে নিতে আসেন। এ সময় বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করে গুরুতর জখম করেন। অভিযুক্ত আরাফাত ও রিপন সওদাগরের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আরাফাতের বাবা হেনজে আলী বলেন, আমার ছেলেসহ তার বন্ধুরা রাতে আড্ডা দিতে গেলে সন্দেহজনকভাবে তরমুজ চোর আখ্যা দেয়। কিন্তু আমি এবং আমার পরিবারের কেউ তাদের ওপর হামলা করিনি।
কুকরী-মুকরী ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদ বলেন, তরমুজ নিয়ে দুই পক্ষের ঝামেলা হয়েছে। তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ আইনি ।