বরিশালে ওএমএস খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী ও টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডে চাল-আটা বিক্রী কার্যক্রম সম্প্রসারনের তাগিদ বরিশালে ওএমএস খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী ও টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডে চাল-আটা বিক্রী কার্যক্রম সম্প্রসারনের তাগিদ - ajkerparibartan.com
বরিশালে ওএমএস খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী ও টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডে চাল-আটা বিক্রী কার্যক্রম সম্প্রসারনের তাগিদ

5:17 pm , March 3, 2025

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বরিশালে খোলাবাজারে খাদ্য সামগ্রী বিক্রীর আওতায় প্রতিদিন প্রায় ৪৫ হাজার মানুষকে আটা ও চাল বিতরন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই সাথে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী’র আওতায় ৪ লক্ষাধিক পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে দুমাস ৩০ কেজি করে চাল বিতরনের পাশাপাশি টিসিবি’র ফ্যমিলি কার্ড-এর মাধ্যমেও অন্তত ৪ লাখ পরিবারকেও একই দামে চাল বিক্রী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এসব কর্মসূচীর কারণে চালের বাজারে ঊর্ধ্বমুখি প্রবনতা নিয়ন্ত্রন সম্ভব হচ্ছে বলে খাদ্য বিভাগের দাবী।
রমজানের শুরুতেই ‘ওএমএস’ কর্মসূচীর আওতায় বরিশাল মহানগরীর ৩০টি  ওয়ার্ডে একজন করে ডিলার প্রতিদিন ১টন করে চাল ও সমপরিমান আটা বিক্রী কার্যক্রম শুরু করেছে। এ কর্মসূচীর আওতায় প্রতিদিন নগরীর ৯টি পয়েন্টে ট্রাকে ডিলারদের সম পরিমান চাল ও আটা বিক্রী করছেন। প্রতিকেজি চাল ৩০টাকা এবং আটা ২৪ টাকা দরে যে কেউ মাথাপিছু ৫ কেজি করে কিনতে পারছেন।
ওএমএস কর্মসূচীর আওতায় মহানগরীর ৩০জন ডিলারের বাইরে জেলা সদরে ৬জন ও উপজেলা সদরে ২জন করে ডিলার প্রতিদিন ১টন করে চাল ও আটা বিক্রী করছেন। সব মিলিয়ে বরিশালে প্রতিদিন ১৬৪ টন চাল ও ৫৬ টন আটা বিক্রী করা হচ্ছে বলে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে। সরকারী সিদ্ধান্তের আলোকে এই কর্মসূচী চলমান থাকবে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী’র আওতায় বরিশাল খাদ্য অঞ্চলে ৪ লক্ষাধিক পরিবারকে মার্চ ও এপ্রিল মাসে  ১৫টাকা দরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরন কর্মসূচীও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচীর আওতায় দু মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রায় ২৫ হাজার টন চাল বিতরন করা হবে বলে খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
একইসাথে বরিশালে টিসিবি’র ফ্যমিলি কার্ডধারী প্রায় ৬লাখ পরিবারও ৩০ টাকা কেজি দরে  ৫কেজি করে চাল পাচ্ছেন। এরফলে প্রতিমাসে আরো প্রায় ৩ হাজার টন চাল খোলা বাজারে আসছে।
এত বিপুল পরিমান চাল খোলা বাজারে আসায় চালের বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে থাকবে বলে খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র আশা করছে। তবে বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, ওএমএস পদ্ধতিতে বরিশাল মহানগরী সহ জেলা এবং উপজেলা সদরে চাল ও আটা বিক্রী কার্যক্রম আরো সম্প্রসারনের পাশাপাশি বরাদ্ধ বৃদ্ধি করে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা জরুরী। একইসাথে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় সুবিধাভোগির সংখ্যাও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। অনুরূপভাবে টিসিবির কার্ডধারীদের জন্য মাসে মাত্র ৫ কেজি চাল বরাদ্ধের বিষয়টি হাস্যকর বলে মন্তব্য করে তা নুন্যতম ২৫ কেজিতে উন্নীত করারও দাবী সাধারন ভোক্তা সহ বাজার পর্যবেক্ষকদের।
বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, সারাদেশের মত বরিশালেও চালের বাজার মিল মালিক ও তাদের আড়তদারদের নিয়ন্ত্রনে থাকছে। এ সিন্ডিকেট ভাঙতে ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে সরকারী চালের বিক্রী আরো বৃদ্ধি করার কোন বিকল্প নেই বলেও মনে করছেন বাজার পর্যবেক্ষকগন।  নচেত বরিশাল মহানগরীতে ওএমএস-এর চাল-আটা এবং টিসিবি’র খাদ্যপণ্য বিক্রীর ট্রাকের পেছনে রোজাদারদের নিত্যকার লম্বা লাইন প্রসমনের কোন  সুযোগ সৃষ্টি হবেনা বলেও মনে করছে মহলটি।

 

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT