4:19 pm , February 23, 2025

উজিরপুর প্রতিবেদক ॥ উজিরপুর উপজেলার সোনার বাংলা এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে পরিত্যাক্ত অবস্থায় বোমা সদৃশ্য বস্ত উদ্ধারের ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানায় ২২ ফেব্রুয়ারী শনিবার একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী বামরাইল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সবুজ হাওলাদার। মামলায় ৭৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিক , দিনমজুর এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও রয়েছেন। ামলার বাদী সবুজ হাওলাদার বলেন, বিএনপির বড় নেতারা তাকে বাদী হতে বাধ্য করেছেন। মামলায় ৫২ নম্বর আসামী করা হয়েছে বিগত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া জাফরুল নাদিমকে। ৪৩ নম্বর আসামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীর নেতা হাবিব প্রফেসরের ছেলে মিলন ফকির। জয়শ্রী পানের আড়তের মালিক আনোয়ার মল্লিক ও ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদারকে আসামী করা হয়েছে। জমি নিয়ে বিএনপি নেতার সাথে বিরোধের কারনে ৬৫ নম্বর আসামী করা হয়েছে দিনমজুর সেলিম খানকে। ১৮ নম্বর আসামীর তালিকায় আছেন দৈনিক দেশ রুপান্তর ও আজকের পরিবর্তন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি শাকিল মাহমুদ বাচ্চু। মামলাটি থানায় রুজু হওয়ার পর উজিরপুর জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার বলেন, মামলার ২ নং সাক্ষী সৈয়দ ইউসুফ এর সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দিনমজুর সেলিম খান সহ অনেকেই আসামী হয়েছেন। ছাত্রনেতা নাদিম হাওলাদার বলেন, আমার গোটা পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। জমি নিয়ে বিরোধের কারনে উজিরপুর পৌর বিএনপির এক নেতার ইন্ধনে দুই ভাইকে আসামী করা হয়েছে। ব্যবসায়ী আনোয়ার মল্লিক বলেন, ব্যবসা করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। জিয়া মঞ্চ এর উপজেলার সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান ইকবালকে মামলার ৭৪ নম্বর আসামী করা হয়েছে। ইকবালের সাথে মামলার সাক্ষী শ্রমিকদল নেতা খোকন ডাকুয়ার বিরোধ রয়েছে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি তৌহিদ করিম বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারী ৩টি ককটেল, ২টি পেট্রোল বোমা সদৃশ্য বোতল উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলাটি তদন্তাধীন। বাদী যাকেই আসামি করুক না কেন তদন্তে যারা দোষী হবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।