মঠবাড়িয়ার সাংরাইল খালের ব্রিজের বেহাল দশা ॥ দুর্ভোগে এলাকাবাসী মঠবাড়িয়ার সাংরাইল খালের ব্রিজের বেহাল দশা ॥ দুর্ভোগে এলাকাবাসী - ajkerparibartan.com
মঠবাড়িয়ার সাংরাইল খালের ব্রিজের বেহাল দশা ॥ দুর্ভোগে এলাকাবাসী

3:59 pm , February 6, 2025

শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গোলবুনিয়া ও বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের জানখালী গ্রামের সীমান্তবর্তী সাংরাইল খালের ওপর নির্মিত সংযোগ সেতুটির বেহাল দশা। দীর্ঘদিন ধরে এটি এলাকার মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে রয়েছে। লোহার সেতুর পাটাতনের স্লাবগুলো এক যুগ আগে ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা লোহার ভীমের ওপর সুপারি গাছ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে নিয়েছে। তার উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে ৬ গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মঠবাড়িয়া উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ বছর আগে সাংরাইল খালের ওপর লোহার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালের নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় সিডরে গাছ উপড়ে সেতুটির ওপর পড়ে পাটাতন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে রড ও সিমেন্টের তৈরি (পাটাতন) স্লাবগুলো ভেঙে যেতে থাকে। ১৩ বছর আগে সেতুটির স্লাবগুলো ভেঙে যাওয়ায় সুপারিগাছ ভীমের ওপর দেওয়া হয়। মেরামত না হওয়ায় এভাবেই লোকজন চলাচল করে আসছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির লোহার ভীমের ওপর থাকা পাটাতনের স্লাবগুলো ভেঙে গেছে। জরাজীর্ণ লোহার খুঁটির ওপর ভীমের মরিচা ধরা। ভীমের ওপর সুপারিগাছ ও বাঁশ দিয়ে সরু সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। সেতু এলাকায় রয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, জানখালী উলুবাড়িয়া হামিদিয়া দাখিল মাদরাসা, জানখালী সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭৮ নং জানখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি বাজার। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় ৬ গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, সিডরে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতু নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার দাবি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা নিরুপায় হয়ে সেতুর ওপর সুপারিগাছ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। শিশু শিক্ষার্থীরা ও বয়ষ্ক লোকজন সেতুটি পার হতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। তারা আরও জানান, উপজেলার মধ্যে এ অঞ্চল কৃষিনির্ভর এলাকা। এখানকার মানুষ কৃষিপণ্য ঘাড়ে ও মাথায় করে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হয়ে আশপাশের বিভিন্ন বাজারে যাতায়ত করেন। তারা দ্রুত সেতুটি পুন:নির্মাণের দাবি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম বলেন, জরাজীর্ণ সেতুর তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে সেতুগুলো নির্মাণ করা হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT