কাউখালীতে একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে উপজেলা হাসপাতাল কাউখালীতে একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে উপজেলা হাসপাতাল - ajkerparibartan.com
কাউখালীতে একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে উপজেলা হাসপাতাল

3:57 pm , February 6, 2025

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী প্রতিবেদক ॥ কাউখালীতে চিকিৎসকের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন রোগী দেখছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। হাসপাতালে ভর্তি আরো ২০ থেকে ২৫ জন রোগীর খোঁজখবরও নিতে হয় তাকে। চাম সামলাতে অফিসের নিজ কক্ষে রোগী দেখছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইশতিয়াক আহমেদ।
বৃহস্পতিবার ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র একজন চিকিৎসক সুব্রত কর্মকার চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষাধিক লোকের চিকিৎসার একমাত্র প্রতিষ্ঠান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসকের অভাবে অনেক সময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পার্শ্ববর্তী রাজাপুর, ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর সদর কিংবা বরিশাল মেডিকেলে যেতে বাধ্য হন যা অনেকটা ব্যয়বহুল।
কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইউনানী চিকিৎসক সহ ১৫ জন চিকিৎসকের স্থলে আছে মাত্র একজন মেডিকেল অফিসার। ৯ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের স্থলে আছে মাত্র একজন মেডিকেল অফিসার। বাকি পাঁচটি ইউনিয়নে কোন মেডিকেল অফিসার নেই। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা সময় মত চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন না।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সেলিনা বেগম ও ফোরকান আহমেদ বলেন, হাসপাতালে  চিকিৎসক না থাকায় তাদের চিকিৎসা সেবা নিতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রোগীদের খোঁজখবর নিতে পারছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র চিকিৎসক সুব্রত কর্মকার বলেন, কি আর করা প্রতিদিন প্রায় ২৫০জন রোগী আমার একার দেখতে হয়। তার উপর আবার নাইট ডিউটি করতে হয়। আপনারা যদি পারেন আপনাদের লেখার মাধ্যমে কয়েকজন চিকিৎসক আনার ব্যবস্থা করেন। এমনি ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী ভবনে আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হয়। ভবনের কাজও বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা  ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী ভবনে মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বাধ্য হয়ে আমি অফিসিয়াল কাজের ফাঁকে ফাঁকে রোগী দেখার চেষ্টা করছি। জনবল সংকট সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে আমি অবগত আছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে চিকিৎসক দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT