4:33 pm , February 5, 2025

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ কোনো কিছু চাইতে হলে সড়ক মহাসড়ক অবরোধ করতে হবে। তানা হলে প্রশাসনের কানে পৌঁছে না সাধারণ মানুষের আহাজারি। যে কারণে বাধ্য হয়েই মানুষ মানুষের কষ্টের কারণ হচ্ছে বলে জানালেন অবরোধকারীরা। চরকাউয়ার খাল থেকে উদ্ধারকৃত নিহত নাসিনা বেগমের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসায় বিলম্বের প্রতিবাদ এবং ন্যায়বিচারের দাবীতে সড়ক ও নৌ-পথ বন্ধ করে মানববন্ধন-সমাবেশ করেছেন স্থানীয় লোকজন। এতে চরকাউয়া খেয়াঘাটে সব রকমের পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেড় ঘন্টার অধিক সময় চরম ভোগান্তিতে ছিলেন দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারো মানুষ। কারণ চরকাউয়া খেয়াঘাট দিয়ে বরিশাল জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের বাসিন্দা ছাড়াও ভোলা এবং পটুয়াখালীর বাউফল এলাকার মানুষের চলাচল। এর আগে গত ৪ জানুয়ারী বরিশালের চৌমাথা বাজার ব্যবসায়ীরা টেন্ডার বাণিজ্য বন্ধের দাবীতে ঢাকা- বরিশাল ও কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদেরও বক্তব্য ছিলো সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
চরকাউয়া কয়লাঘাট এলাকার বাসিন্দা বাস মালিক সমিতির সদস্য ওমর আলীর স্ত্রী নিহত হাসিনা বেগমের মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয় দাবী করে তার স্বজনরাসহ চরকাউয়া বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন বুধবার সকাল দশটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত সড়ক ও নৌপথ বন্ধ করে মানববন্ধন করে। প্রায় দেড় ঘন্টা তারা চরকাউয়া বাস টার্মিনাল ও নৌপথ অবরোধ করে মানববন্ধন করেন। তারপরও প্রশাসনের কেউ না আসলে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। তবে এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে দূর থেকে আসা যাত্রী ও শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বলেন, এভাবে সড়ক ও যানবাহন আটকে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তৈরি করে কেউই শান্তি পাবে না। এটা কোনো প্রতিবাদের ভাষা হতে পারেনা। তাদের সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অফিসে যাওয়া উচিৎ। কাজ না হলে ওই অফিস ঘেরাও করে বসে থাকুন।
এ জাতীয় আন্দোলন বন্ধ করতে প্রশাসনকে সাধারণ মানুষের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনার অনুরোধ জানান শিক্ষার্থীরা।