4:55 pm , January 28, 2025

মোঃ আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ ভোলায় বাস মালিক শ্রমিক এবং সিএনজি চালকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এঘটনায় বেশ কয়েকটি বাস সিএনজি ভাংচুর, অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে।
গতকাল ২৮ জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভোলা শহরের বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালে সংঘর্ষ ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। ঐ সময় বাস টার্মিনালে সিএনজি না রাখতে দেয়ার ঘটনায় দীর্য দিন ধরেই বাস মালিক এবং সিএনজি মালিকদের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিলো। এঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যার পরে দুই পক্ষ মুখোমুখী হয়। এ পর্যায়ে বাস মালিক ও শ্রমিকরা রাস্তার উপর বাস রেখে জেলার সকল রুটের সাথে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ঘটনার একপর্যায়ে একটি এ্যাম্বুলেন্স আসলে বাম শ্রমিকরা বাসটি রাস্তা থেকে সরিয়ে এ্যাম্বুলেন্সটি যেতে দেয়। পুনরায় বাস রাখতে গেলে সিএনজি চালক ও মালিকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে বাস মালিক ও শ্রমিকদের উপর চড়াও হয়। লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেয়। এরি ফাকে বাস মালিকের একজনের উপর হামলা চালায় সিএনজি চালক ও মালিকরা। এঘটনা ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যেই সংঘর্ষ শুরু হয়। দেশীয় অস্ত্র ,লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। আগুন দেয়া হয় টার্মিনালে দাড়িয়ে থাকা একটি বাসে। মুহুর্তের মধ্যে উত্তেজনা আরো ছড়িয়ে পড়ে। এর পরেই বেশ কয়েকটি বাস ও সিএনজিতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রথমে আসলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন না করেই চলে যায়। পরে পুরো এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। প্রায় আড়াই ঘন্টা ব্যাপি চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সংবাদ সংগ্রহের সময় একজন সাংবাদিক আহত হয়।
একে অপরের উপর ধারালো অস্ত্র ও ইটপাটকের নিক্ষেপ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সময় বাস এবং সিএনজিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আগুনের কারণে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সিএনজি গুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যার্থ হয়েছে স্থানীয় সাধারন মানুষ এবং ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা। পরে নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা যৌথ ভাবে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি রাত ৯টায় নিয়ন্ত্রন করে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।