3:26 pm , January 17, 2025

কাউখালী  প্রতিবেদক ॥ কাউখালীতে ভরা মৌসুমেও চালের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ভোগান্তির শেষ নেই।
শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মোটা বুলেট চাল ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমন মোটা ৬২ টাকা থেকে ৬৪ টাকা, প্রকারভেদে আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা পর্যন্ত। স্বর্ণা চাল ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা, মিনিকেট প্রকারভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাউখালী দক্ষিণ বাজারের চাল ব্যবসায়ী  সাইদুর রহমান ও পলাশ সাহা বলেণ, গত ১৫ দিনে যে চালের দাম ছিল তা থেকে কেজিতে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। চাল ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, চাহিদা অনুযায়ী ধানের সরবরাহ কম বলে মিলাররা আমাদের জানিয়েছেন। তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে যে চাল উৎপন্ন হয় তা দিয়ে বছরে ৩ থেকে ৪ মাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব।
উত্তর বাজারের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের চাল ব্যবসায়ীদের উত্তরবঙ্গের মিলের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। তারা যখন যে রেট দেবে আমাদের ওই রেটে ক্রয়-বিক্রয় করতে হয়। ২৫ কেজি চালের বস্তায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাল ক্রয় করতে আসা অটোচালক আবুল হোসেন ও দিনমজুর শুকুর আলী আক্ষেপ করে বলেন, ‘মোরা আগে জানতাম ভরা মৌসুমে পৌষ, মাঘ ও ফাল্গুন মাসে চালের দাম কম থাকে এখন দেখি তার উল্টা’। সংবাদকর্মী মাসুম বিল্লাহ বলেন, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তাহলে চাল সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের ভিতরে চলে আসবে।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। কাউখালীতে ইতিমধ্যে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে চালের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতে হবে। আশা করি চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। তিনি আরো বলেন, যদি কোন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে চাল মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।