ছাত্রীদের পোটানোয় প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি ! ছাত্রীদের পোটানোয় প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি ! - ajkerparibartan.com
ছাত্রীদের পোটানোয় প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি !

3:08 pm , January 16, 2025

ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ীর মধ্যে বসে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর

ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম এবং ১০ম শ্রেণির ৭ ছাত্রীকে বেধরক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের পেটানোর এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদেরকে তাদের সহপাঠি,অভিভাবক ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন :  অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মেসাম্মৎ জান্নাতী,  ইসরাত জাহান রুমকি, নবম শ্রেণির জান্নাতী আক্তার, দশম শ্রেণির ছাত্রী শিপু আক্তার, আয়শা মনি, সুমা বেগম। এরা বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এবং ম্যাজিষ্ট্রেট গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহত অবস্থায় ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং স্থানীয়রা জানান, আগামী ২৮ জানুয়ারী বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এ জন্য ক্লাস শেষে কয়েকজন ছাত্রী দলীয় নৃত্যে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে গান বাজিয়ে নাচ শিখছিল। অন্যরা সেটি দেখছিল। বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের নজরে আসে। স্কুলে মোবাইল ফোন আনায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রীদেরকে বেত দিয়ে মারধর করে। এতে ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে প্রধান শিক্ষককে আটকিয়ে গণপিটুনি দেয় এবং রুমের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম সহ সদর থানা পুলিশ লাইব্রেরী কক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময়  প্রধান শিক্ষককে বহনকারী গাড়ি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা ভাংচুর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ির মধ্যে বসেই পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন। এর পরেই সড়ক ছেড়ে দেয় আন্দোলনরতরা।
নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সাবেক সেনা সদস্য সাব্বির হোসেন জানান, বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই গ্রুপিং চলছিলো। প্রধান শিক্ষক একটি গ্রুপের মদদদাতা ছিলেন। তিনি মিজানুর রহমান বাদল নামে একজনকে এডহক কমিটির আহবায়ক করে একটি কমিটি গোপনে দাখিল করেছে। এটা জানাজানি হলে অভিভাবকরা ডিসির কাছে লিখিত আপত্তি দেয়। যা প্রধান শিক্ষক বৃহস্পতিবার সকালে জানতে পেরেছে। আর সেই থেকেই তার মাথা গরম হয়। সেই রাগ ঝেড়েছে ছাত্রীদের পিটিয়ে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT