চরফ্যাসনে মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ভিজিডির চাল জব্দ ॥ উদ্ধারে আগ্রহ নেই চরফ্যাসনে মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ভিজিডির চাল জব্দ ॥ উদ্ধারে আগ্রহ নেই - ajkerparibartan.com
চরফ্যাসনে মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ভিজিডির চাল জব্দ ॥ উদ্ধারে আগ্রহ নেই

4:17 pm , January 14, 2025

চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ শশীভূষণ থানার চর কলমী ইউনিয়নের মাহাবুবুল নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ীর বসতঘর থেকে ৬ বস্তা ভিজিডির সরকারী চাল আটক করে স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশসহ ইউপি সচিব ও প্রশাসককে জানালেও ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে চাল জব্দ করা হয়নি। সোমবার রাতে চরকলমী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৎস্য ব্যবসায়ী মাহাবুবুলের বসতঘর থেকে চাল আটক করা হয়। স্থানীয়রা জানান,গত ৮ জানুয়ারী চরকলমী ইউনিয়নের ১৫৪ জন হতদরিদ্র নারীদের মাঝে ভিজিডির চাল বিরতণের তারিখ ধার্য্য ছিলো। ধার্য্য তারিখে কিছু চাল বিতরণ করে বাকী চাল বিতরণ করেননি সচিব। পরের দিন কার্ডধারী হতদরিদ্ররা চাল সংগ্রহ করতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলেও তারা চাল পাননি। সোমবার ইউনিয়ন পরিষদের পিয়ন কামাল উদ্দন ইউপি সচিব ইয়ামিনের সঙ্গে আঁতাত করে সুবিধাভোগীদের প্রাপ্য চাল মৎস্য ব্যবসায়ী মাহাবুবুলের কাছে বিক্রি করেছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওৎ পেতে ছিলেন স্থানীয় লোকজন। পরে ৬ বস্তা চাল রাতের মাহাবুবুলের বাড়িতে নিয়ে ঘরে মজুত করার সময় আটক করে। বিষয়টি শশীভূষণ থানা পুলিশ ও ইউপি সচিবকে জানালেও তারা ছিলেন নীরব ভূমিকায়।
মৎস্য ব্যবসায়ী মাহাবুবুল জানান, চালগুলো ইউনিয়ন পরিষদের পিয়ন কামালের কাছ থেকে খরিদ করেছি। কামাল নিজেই রিকশাযোগে চাল আমার বাড়িতে পাঠিয়েছেন। পরে রাতে স্থানীয়রা ওই চাল আমার বসতঘর থেকে আটক করে।
পিয়ন কামাল উদ্দিন বলেন, ভিজিডির চাল বিক্রির সঙ্গে আমি জড়িত না। আমি চাল দেয়ার কেউ না। চাল কিভাবে মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়িতে গেছে আমার জানা নাই।
ইউপি সচিব ইয়ামিন জানান, গত ৮ জানুয়ারী আমি ওই ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তাকে নিয়ে ভিজিডির চাল বিতরণ করেছি। সুবিধাভোগীরা না আসায় সব চাল বিতরণ করা হয়নি। তবে ওই চাল কিভাবে মৎস্য ব্যবসায়ী পেয়েছেন তা আমার জানা নাই।
চরকলমী ইউনিয়নের প্রশাসক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারবাইজার মো. খলিলুর রহমান বলেন, কার্ড জমা নিয়েই সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। ১০ জন সুবিধাভোগী না আসায় তাদের চাল আমাদের গুদামে মুজত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা শারমিন মিথি বলেন, বিষয়টি শুনে ওই ইউনিয়নের প্রশাসক ও সচিবকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT