3:52 pm , January 6, 2025
অনামিকা আক্তার ॥ বাংলার প্রকৃতি যেনো এক অপরুপ সৌন্দর্য্য। এই সৌন্দর্য্যকে লালন করা হয় ছয় ঋতুকে নিয়ে।এই ঋতুর মধ্যে বাঙালির কৃষকদের ঘরে উদযাপন অন্যতম ঋতু হেমন্ত। হেমন্তকাল হয় কার্তিক- অগ্রহায়ণ ২ মাস নিয়ে।প্রতিবছর এই সময় উদযাপিত হয় নবান্ন উৎসব।
নবান্ন মানে নতুন অন্ন। সে সাথে নবান্ন উৎসব হচ্ছে নতুন আমন ধান কাটার পর সে ধান থেকে তৈরি করা হয় অন্ন।বাংলার ঘরে নিয়ে আসে খুশির বার্তা।নতুন ধানকে ঘরে উঠানোর জন্য ব্যস্ত থাকে কৃষান- কৃষানীরা। এই উৎসব যেনো বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস।
ঋতবৈচিত্র্য হেমন্তকালে দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ ছেয়ে যায় হলুদ রঙে।সে আনন্দকে লালন করা হয় উৎসবকে ঘিরে।নবান্ন হচ্ছে হেমন্তের প্রাণ।নতুন ধান দিয়ে বানানো হয় পিঠা, পায়েস, ক্ষীর,মূড়ি, চিড়া, খাবার।অগ্রহায়ণ আসলেই কৃষকদের মাঠজুড়ে ধানকাটার ধুম পড়ে যায়।
কৃষান-কৃষানীরা ধান ভাঙ্গার সময় গান ভেসে বেড়ায় বাতাসে, ঢেঁকির তালে মুখর হয় বাড়ির আঙ্গিনা।ঢেঁকির ছাটার চাল দিয়ে বানানো হয় ভাত।নবান্নকে ঘিরে গ্রামে বসে বিশেষ বিশে মেলা। মেলায় উঠে নানান ধরনের জিনিস।মেলায় ঘুরতে আসে বিভিন্ন বয়সী মানুষ।
প্রতিবছর ন্যায় এই বছরেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নবান্ন উৎসব। বর্নিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পাসজুড়ে উপভোগ করে শিক্ষার্থীরা।ক্যাম্পাসে মাঠে নানান রকম ছোট ছোট দোকান দেওয়া হয়।সেখানে থাকে বিভিন্ন ধরনের খাবার (পিঠা,ফুসকা,চটপটি, পায়েস,কেক)। সে সাথে মেয়েদের ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র রাখা হয়। সে ২ দিনব্যাপী চলে নানান ধরনের গান,নাচ,কবিতা,নাটক,যাত্রাপালা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ ধরে রাখার জন্য মাঠের একপাশে থাকে নাগরদোলা, সার্কাস,পুতুল নাচ।
নবান্ন উৎসব এক বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব।যা যুগ যুগ ধরে পালিত হচ্ছে।