3:32 pm , January 3, 2025
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে অবসরের ৬ মাসে আগেই প্রধান শিক্ষক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের সৈয়দা শাহজাদী বেগম নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম অবৈধভাবে ওই বিদ্যালয়ে ৫ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নেন বলে জানান শিক্ষক ও অভিভাবকরা। গত ২ জানুয়ারি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে সৈয়দা শাহজাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বই নেওয়ার সময় বিষয়টি জানাজানি হয়। আফরোজা বেগমের গত ২ নভেম্বর অবসর গ্রহণের কথা ছিলো। তিনি ২০২৪ সালের ২১ মে একটি রেজুলেশন করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে থাকার জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়েছেন। তার স্বামী কাজী জানে আলম দুলাল বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি থাকায় ইচ্ছেমতো রেজুলেশন করে এই নিয়োগ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অবসরে যাওয়ার আগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ লাভের কোনো সুযোগ নেই বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগমের জন্ম ১৯৬৪ সালের ২ নভেম্বর। ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর বিদ্যালয়ে তাঁর শেষ কর্মদিবস ছিলো। কিন্তু তিনি ৫ বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন দাবি করে নিজেকে প্রধান শিক্ষক পরিচয় দিচ্ছেন।
বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম অবসরে যাওয়ার ৬ মাস আগেই গত সদ্য বিদায়ী বছরের ২১মে একটি রেজুলেশন করে ৫বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুসারে বিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা নেই। এছাড়া যে কমিটির মাধ্যমে আফরোজা বেগমকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেখানো হয়েছে সেই কমিটি গত বছর ২ এপ্রিল বরিশাল শিক্ষাবোর্ড বাতিল করেছিলো।
সাবেক প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম বলেন, ‘অবসরের আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অনুরোধে পরিচালনা পর্ষদ (ম্যানেজিং কমিটি) ৫বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেতে উচ্চ আদালতে (হাইকোর্টে) রিট করেছি। বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ স্থগিত রয়েছে। তবে আফরোজা বেগম চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য উচ্চ আদালতে একটি রিট করেছেন। আদালত বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।