3:54 pm , December 29, 2024
৫ আগস্টের পর বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ২১টি মামলা ॥ নামধারী আসামী সহস্রাধিক
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের এমন কোন থানা নেই যেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। বরিশালও এর ব্যতিক্রম নয়। শুধু বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ৫ আগস্টের পর ২১টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। ওইসব মামলায় নামধারী আসামী করা হয়েছে অন্তত ১ হাজার জনকে। আর অজ্ঞাত রয়েছে এর দ্বিগুন। মামলার বাদী বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বিএনপির পদধারী নেতা। রোববার পর্যন্ত এই সব মামলায় ৬০ জনের মত আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ পুলিশ আসামীদের ধরতে খুব একটা সক্রিয় না। অনেকে আবার বলছে পুলিশ আসামীদের সাথে সখ্যতা করে লাভবান হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে নামধারী আসামী ধরার ক্ষেত্রে পুলিশের উদ্যোগ নেই। অথচ যাদের নামে মামলা নেই তাদের আটক করে অজ্ঞাতদের মধ্যে ঢুকানো হচ্ছে।
কোতয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার পার্থ সারথী বলেন, এখন পর্যন্ত ৬০ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন থানায় চিঠি দেওয়া দেওয়া হয়েছে। থানা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে আসামীদের গ্রেফতারে।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন তারা একাধিক মামলার আসামী। সে ক্ষেত্রে যে ৬০ জন গ্রেফতার হয়েছে মামলা হিসেব করলে তারা অনেক মামলার আসামী। মামলা বাই মামলা বললে গ্রেফতারের সংখ্যা কয়েকগুন বেড়ে যায়। তিনি বলেন, থানায় যারা বর্তমানে কর্মরত আছেন তারা বেশীর ভাগ নতুন। আসামীরা কাছ থেকে হেটে গেলেও চিনবে না। তাই এ ক্ষেত্রে আমাদের একটু বেগ পেতে হচ্ছে। এজন্য আমাদের জনগনের সহযোগীতা খুবই দরকার। তিনি আরো বলেন, আসামীদের সাথে পুলিশের কোন ধরনের সখ্যতা নেই। কোন অফিসারের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ আসলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিন্দু মাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
গ্রেফতারকৃতদর মধ্য থেকে কয়েকজন জামিন পেয়েছেন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, পুলিশ কে আমরা ঢালাওভাবে দোষারোপ করছি না। তবে তাদের জনবলসহ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পুলিশের সদস্যদের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারে যেমন আন্তরিকতা রয়েছে তেমনি শিথিলতাও রয়েছে। আমরা চাই তারা আসামীদের গ্রেফতার করে দৃশ্যমান কিছু দেখাক। যা বরিশালের মানুষ দেখবে। তিনি আরো বলেন আসামীরা বুঝতে পেরেছে যে তারা যা করছে তা জঘন্য অপরাধ। তাই তারা পালিয়ে আছে। আমাদের সকলের উচিত তাদের গ্রেফতারে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করা।