3:03 pm , December 28, 2024
ভান্ডারিয়া লাইফ কেয়ার হাসপাতালে
কবির খান, ভান্ডারিয়া প্রতিবেদক ॥ ভান্ডারিয়ায় লাইফ কেয়ার হাসপাতালে হাবিবা আক্তার রুম্পা নামে এক গৃহবধুর সিজারিয়ান অপারেশন করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন ডা: তাপস কুমার তালুকদার ও তার স্ত্রী ডা: নিপা মন্ডল। ভুল অপারেশনের গচ্ছা হিসেবে এ টাকা পরিশোধ করেন তারা। হাবিবা আক্তার ভান্ডারিয়া পৌর শহরের দক্ষিণ পূর্ব ভান্ডারিয়া গ্রামের ইউসুফ শিকদারের মেয়ে। হাবিবার মা নিলুফা বেগম জানান, গত ৮ নভেম্বর লাইফ কেয়ার হাসপাতালে অপারেশন হয়। নবজাতক সুস্থ থাকলেও মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সিজারের পর থেকে সে অনবরত বমি করতে থাকে। ডাক্তার তাপস কুমার তালুকদারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান ‘রোগীর পেটে টিউমার আছে। যা রোগীর শরীরের রক্ত চুষে নিচ্ছে। দ্রুত অপারেশন করতে পরামর্শ দিয়ে তিনি রোগীকে বরিশাল আরিফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে রেফার করেন। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় শের ই বাংলা হাসপাতালে। এরপর বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। পরীক্ষা করে দেখা যায় রোগীর পেটে আদৌ কোনো টিউমার নেই। জরায়ুর মুখে সেলাই না দেওয়ায় সেখান থেকে রক্ত বের হয়ে পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়ে এবং ইনফেকশন সৃষ্টি হয়। এরপর শেবাচিমের চিকিৎসকরা জানান, হাবিবার অপারেশন করতে হবে। কারন জরায়ু থেকে বের হওয়া রক্তে তার পেটে ইনফেকশন সৃষ্টি হচ্ছে। পরে শের ই বাংলা হাসপাতালে হাবিবার অপারেশন করা হয় । অপারেশনের পর হাবিবার পেটের মধ্যে পুঁজ পাওয়া যায় এবং দেখা যায় নানা স্থানে ক্ষত। অপারেশনের সময় কাটা স্থানে সেলাই না দিয়ে স্টাপলার পিন দেওয়া হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় শেবাচিম থেকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে। এ প্রর্যন্ত রোগীর চিকিৎসায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা তাপস কুমার তালুকদার-কে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। ডা: নিপা মন্ডল লাইফ কেয়ার হাসপাতালের মালিক হওয়ায় ঝালকাঠী জেলার আমুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও তাপস কুমার তালুকদার কর্মস্থল ফাঁকি দিয়ে এ হাসপাতালে অপারেশন করেন।
ডা: তাপস কুমার তালুকদার ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি শিকার করেছেন।