2:59 pm , December 28, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর নাজির মহল্লায় মায়ের সামনে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। আহত ছেলে আবিয়াত বিশ্বাস এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মা শাহনাজ বেগম (৪৬)।
শাহনাজ বেগম, স্বামী-মৃত সামছুল আরেফিন বিশ্বাস জানান, তিনি বরিশাল নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড নাজির মহল্লা, বিশ্বাস রাড়ীর বাসিন্দা। তার বাড়ি সংলগ্ন মাঠে ক্যারামবোর্ড খেলারত ছেলে আবিয়াত বিশ্বাস (২৫) কে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে আসামী ফয়সাল বিন ইসলাম (৪২), পিতা-মৃত নজরুল ইসলাম, বিকাশ চন্দ্র দাস (৪৩), পিতা-অজ্ঞাত, কৌশিক বিশ্বাস (৪০), পিতা- মৃত সামছুল আরেফিন বিশ্বাসসহ কয়েকজন।
এদের বিরুদ্ধে শাহনাজ বেগম বলেন, আমি পেশায় একজন গৃহীনি। আসামীরা এলাকায় সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত। আমার ছেলে বিভিন্ন সময়ে আমার বাড়ীর পার্শ্বের মাঠের খালি জায়গায় তার বন্ধুদের সাথে ক্যারামবোর্ড খেলে সময় কাটায়। গত ২৩ ডিসেম্বর রাত অনুমান ৮ টার সময় আসামী ফয়সাল মাঠে যেয়ে আমার ছেলের সাথে বিনা কারণে বাকবিতন্ডা শুরু করে এবং আজে বাজে কথাবার্তা বলে। এই বিষয় নিয়ে আমার ছেলের সাথে তার ঝগড়া হয় এবং সে সেখান থেকে ঘরে চলে আসে। পরবর্তীতে ফয়সাল ও তার কয়েকজন সাথী আমার বাসায় এসে দরজায় লাথি মেরে ছেলে আবিয়াতকে খুন করার হুমকি দেয় এবং সে ঘরের ভিতর আমার ছেলেকে খুঁজতে থাকে। পরে রাত অনুমান আটটার দিকে বিশ্বাস বাড়ী নামক বিল্ডিং এর সামনে মাঠের মধ্যে অবস্থানকালীন কৌশিক বিশ্বাস ও বিকাশ চন্দ্র দাসকে সাথে নিয়ে আসামী ফয়সাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের মাথার তালুর উপরীভাগে আঘাত করে। এতে আমার ছেলের মাথার হাড় ভেঙে সে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এছাড়াও ফয়সাল আমার ছেলেকে এলোপাথারী মারপিট করে মারাত্মক জখম করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হইলে আসামীরা আমার ছেলেকে খুন করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। লোকজনদের সহায়তায় আমার ছেলেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার ছেলেকে হাসপাতালের ভর্তি রাখিয়া চিকিৎসা প্রদান করেন। আমার ছেলে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান মা শাহনাজ বেগম। এই ঘটনার এলাকাবাসী সাক্ষী বলে জানান তিনি।
এ বিষয় থানায় অভিযোগ হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে।