3:12 pm , December 26, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর দপ্তরখানা এলাকায় মা ও অন্ত:সত্ত্বা ভাবীকে হত্যাকারী ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী শামীম আহমেদকে ১৫ বছর পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত শামীম দপ্তরখানা এলাকার মৃত আলী মোহাম্মদের ছেলে। ২০০৯ সালে জমি জমা বিরোধের জের ধরে মা ও ভাবিকে শ^াস রোধ করে হত্যা করে শামীম। সেই থেকে ১৫ বছর ধরে পলাতক ছিলেন তিনি। নাম পরিচয় গোপন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতো। ২০১০ সালে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক আবদুস সালাম সিকদার আসামী শামিম আহমেদ কে ফাঁসির আদেশ দেন। রায় ঘোষণার ১৪ বছর পর গ্রেফতার হলেন তিনি। কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার বিকালে ঢাকার বাড্ডা থানা পুলিশের সহযোগিতায় শামিমকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বরিশালে নিয়ে আসা হয়। শামীম আসল পরিচয় গোপন করে দ্বীন মোহাম্মদ নামে নিজেকে পরিচয় দিতেন। ২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল প্রেমের বিয়ে মেনে না নেয়ায় মা সুফিয়া বেগমের সাথে বাগবিতন্ডা হয় শামীমের। এক পর্যায় মাকে ধাক্কা দিলে সে (মা) দোতলার সিঁড়ি দিয়ে নীচে পড়ে মারা যান। এ ঘটনা ভাবী শিমু আক্তার দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করে শামীম। নিহত শিমুর বাবা আজিজ মল্লিক বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।