3:36 pm , December 23, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে অভিযানে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন এক এসআই ও ছাত্রদল নেতা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি হ্যান্ডকাফ। পরে মারধর ও টাকা চুরির অভিযোগে করা মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ওই এসআই।
সোমবার বিকালে বরিশাল মহানগর নির্বাহী হাকিম নুরুল আমিন দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান আদালতের জিআরও মো. ফারুক।
রোববার রাতে উপজেলার মাধবপাশ ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া এলাকায় জুয়ার আসরে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে হানা দেওয়ায় দুজনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। জেলে যাওয়ারা হলেন- বরিশালের কাজিরহাট থানার এসআই এইচএম রেদোয়ান ইসলাম (৩৫) এবং মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি শাকিবুল হক রাসেল (৩৮)। এসআই রেদোয়ান ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার লক্ষণকাঠি গ্রামের প্রয়াত নুরুল ইসলামের ছেলে এবং ছাত্রদল নেতা রাসেল নগরীর পশ্চিম কাউনিয়া এলাকার মোজাম্মেল হক আকনের ছেলে।
এ ঘটনায় বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা জমিদার বাড়ির বাসিন্দা মো. ফারুক মিয়ার ছেলে মো. সৌরভ মিয়া চারজনকে আসামি করে বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন।
অন্য দুইজন হলেন- মশিউর রহমান এবং মো. ফরিদ উদ্দিন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিচয় দিয়ে অন্যায়ভাবে আটক করে মারধর ও এক লাখ ছয় হাজার টাকা লুটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির শিকদার বলেন, দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অপর দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, “রোববার রাতে ওই এলাকার কয়েকজন যুবক তাস দিয়ে জুয়া খেলছিলেন। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে সেখানে হানা দেন ওই চারজন। তারা পাঁচ যুবকের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।
“বিষয়টি এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে আমাকে (এয়ারপোর্ট থানার ওসি) কল করা হয়। সেখানে কোনো পুলিশ অভিযানে যায়নি বললে এলাকাবাসী দুইজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।”
বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, “শাকিবুল হক রাসেল ছাত্রদল বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাতেই কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। কারো ব্যক্তিগত অপকর্ম সংগঠন নেবে না।”
বরিশালের কাজির হাট থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, এসআই এইচ এম রেদোয়ান ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।