4:23 pm , December 22, 2024
পিরোজপুর প্রতিবেদক ॥ ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী গ্রামের মৎস্যজীবি শহিদুল হাওলাদার এর স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী শিমু আক্তার (৩০) গত ২৭ নভেম্বর নিঁেখাজ হয়। নিখোঁজের ২৫ দিন অতিবাহিত হলেও তার খোঁজ মেলেনি। এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর তার মা হনুফা বেগম ভান্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
শিমু আক্তারের মা হনুফা বেগম জানান, ৮বছর পূর্বে চরখালী গ্রামের মৎস্যজীবি শহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়ীতে ৩টি শিশু সন্তান নিয়ে সংসার করছিল (দুই ছেলে ও এক মেয়ে)। গত ২৭ নভেম্বর ভোর থেকে তার মেয়ে শিমু আক্তার নিখোঁজ হয়। মেয়ে নিখোঁজের বিষয়টিও তার শ^শুর বাড়ী থেকে জানানো হয়নি। এত ছোট-ছোট সন্তানদের রেখে কোথাও চলে যাওয়ার মেয়ে নয় সে। তার সঙ্গে খারাপ কিছু করা হয়েছে। ২৫ দিন পরেও মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
হনুফা বেগম বলেন, শিমুর বাবা নেই, ওরা তিন বোন। এ ঘটনার পূর্বে গত ১৩ নভেম্বর সে তার বড় মেয়ের বাড়ী বাগেরহাটে বেড়াতে গেলে ছোট মেয়ের জামাতা শহিদুল ইসলাম তাদের ঘর-বাড়ী ভেঙে নিয়ে যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পরে বহু কষ্টে জীবন-যাপন করে আসছি। এর মধ্যেও মেয়ের জামাতা শহিদুল এর নামে সব জমি লিখে দিতে আমি এবং আমার মেয়েকে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এর আগে শহিদুল আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত দেয়নি। শহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটাতে পারে।
নদমূলা-শিয়ালকাঠীর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মেজবা উদ্দীন আরিফ গৃহবধূ নিখোঁজের বিষয়টি শিকার করে বলেন, আমাদের লোক দিয়ে ওই গৃহবধূর খোঁজ করছি।
শিমু আক্তার এর স্বামী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে একাধিকবার তার স্ত্রী চলে গিয়েছিলো আবার ফিরে এসেছে। একবার চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টস এ ৮ মাস চাকরি করে তারপরে ফিরে এসেছিলো।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ভান্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো.কাইউম জানান, এ ঘটনায় বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নেয়া অব্যাহত রয়েছে।