4:09 pm , December 21, 2024
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের বেশি শিক্ষার্থী দেখিয়ে অতিরিক্ত বইয়ের চাহিদা দিয়ে নেওয়া এসব নতুন বই কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের বিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. মতিয়া বেগমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। তিনি শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের ৪২৮ কেজি বই বিক্রি করে দেন। তবে মতিয়া বেগম নতুন বই বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পুরাতন কিছু কাগজপত্র কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক মো. ইউনুছ খান জানান, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে প্রধান শিক্ষক শনিবার সকালে নিজে উপস্থিত থেকে ২০২৩ ও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই বিক্রি করে দেন। গত দুই বছর বিদ্যালয়ে কম শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত বইয়ের চাহিদা দেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চাহিদা অনুসারে বিদ্যালয়ে বই দেওয়ায় এসব বই নতুনই রয়ে যায়। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই রাখার জন্য জায়গা খালি করতে এসব বই বিক্রি করেছেন প্রধান শিক্ষক।
বই ক্রেতা আশরাফুল সরদার বলেন, বিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বিগত বছরের বই বিক্রির কথা বলেন। পরে ১৫টাকা কেজি দরে বিদ্যালয় থেকে ৪২৮ কেজি বই কেনা হয়েছে। এরমধ্যে পুরাতন কোনো কাগজপত্র ছিলো না।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. মতিয়া বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের বই বিক্রির বিষয়টি জানা নাই। তবে কিছু পুরাতন কাগজপত্র কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি বই প্রধান শিক্ষক বিক্রি করতে পারেন না। অতিরিক্ত চাহিদা দিয়ে নেওয়া বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না হলে শিক্ষা কার্যালয়ে ফেরৎ দিতে হবে। আর বই পুরাতন হলে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ (ম্যানেজিং কমিটি) এর সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।