4:05 pm , December 21, 2024
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে খাল খননের নামে বাগান ও পানের বরজ ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে মাস্টার শরৎ চন্দ্রের বাড়ি থেকে জমাদার বাড়ি পর্যন্ত খাল খননের নামে প্রায় ১ কিলোমিটার বাগান এবং ৩টি পানের বরজ ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা জোটবদ্ধ হয়ে খাল খননের কাজ বন্ধ করে দেন। এঘটনায় গতকাল শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর গ্রামের রাশেদ খান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। খাল খননে শ্রমিকের পরিবর্তে অবৈধভাবে খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগও করেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, বরিশাল-ভোলা-ঝালকাঠি সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের শরৎ মাস্টারের বাড়ি থেকে খলিল খানের বাড়ি হয়ে জমাদার বাড়ি পর্যন্ত ২কিলোমিটার খাল খননের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। শুকনো মৌসুমে খালের দুই দিকে বাঁধ দিয়ে স্থানীয় শ্রমিক দ্বারা এই খাল খননের কথা রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার অতিরিক্ত লাভের জন্য ভেকু দিয়ে খালের মাটি কাটাচ্ছেন। এতে খালের দুই পাড়ের বাগান, পানের বরজসহ ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদার খাল খনন না করেই খালের পূর্বপাশে প্রায় ১ কিলোমিটার বাগান ও ৩টি পানের বরজ ভেঙে ফেলেছেন। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
পানের বরজ মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, খাল সংস্কারের নামে ৩টি বরজের প্রায় অর্ধেক করে ভাঙা হয়েছে। এতে বরজ মালিকদের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া খাল খনন কর্মসূচির নামে স্থানীয় তালগাছ, বাঁশঝাড়, বড় বড় ফলদ ও বনজ গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে।
এব্যাপারে ঠিকাদারের প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী খাল খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে কিছু লোকজনের ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আকাশ সিকদার জানান, প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, খাল খননে স্থানীয়রা বাগান ও পানের বরজ ভাঙার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি পুর্নবিবেচনার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ প্রেরণ করা হবে।