4:26 pm , December 17, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নির্মান কাজ শেষ হওয়ার ৮ বছর পর অবশেষে চালু হচ্ছে বরিশালের দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। নগরবাসীর পানির সমস্যার সমাধানে প্লান্ট দুটি চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। কীর্তনখোলা নদীর তীরে বেলতলা ও রূপাতলী এলাকায় নির্মিত সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দুটির ত্রুটিপূর্ন নির্মান কাজের কারণে তা চালু হয়নি আজ পর্যন্ত। এতে করে প্লান্ট দুটি থেকে কখনো পানি পায়নি নগরবাসী। শীতে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। অথচ তাদের বিষয়টি বিবেচনায় না দিয়ে কোটি কোটি টাকার এ প্রকল্প ফেলে রাখা হয়েছে ৮ বছর ধরে।
বিসিসি সূত্রে জানাগেছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হওয়া ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দুটির কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। ২০১৯ সালে ট্রায়ালের সময় ত্রুটির কারণে চালু হয়নি প্লান্ট দুটি। ফলে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে প্লান্টগুলো বুঝে নিতে আপত্তি জানায় সিটি করপোরেশন। এরপর থেকে পড়ে আছে প্লান্ট দুটি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান তরফদার জানান, নগরীর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিনিয়ত নিচে নামছে। ১০ বছর আগে পানির স্তর ২০ ফুট নিচে পাওয়া যেত। এখন ৪০ থেকে ৫২ ফুট নিচে গেলে পানির স্তর পাওয়া যায়। বিকল হয়ে পড়েছে শত শত টিউবওয়েল। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ পানি পেলেও সেটা কতদিন পাওয়া যাবে তা নিয়েও সংশয় আছে। তাই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দুটি চালুর বিকল্প নেই।
নগরীর ৬ লাখ বাসিন্দার জন্য প্রতিদিন ৭ কোটি ২০ লাখ লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। ভূগর্ভস্থ ৩৮টি পানির পাম্প দিয়ে সিটি করপোরেশন সরবরাহ করছে ৩ কোটি ২০ লাখ লিটার।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দুটি চালুর জন্য মন্ত্রণালয়ে ৩৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরবাসী আর পানির সমস্যায় ভুগবে না।