3:28 pm , December 15, 2024
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বিএনপি, জামায়াত, নাগরিক পরিষদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে ব্যতিক্রমী বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বরিশালের শহীদ মিণার প্রাঙ্গণে।
তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ছিলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের প্রামাণ্য চিত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গণ-অভ্যুত্থান। সড়ক অবরোধ থেকে গণহত্যার চিত্র ফুটে ওঠে এই প্রমাণ্য চিত্রে।
আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক আয়োজন নিয়ে সাজানো এই উৎসবের প্রধান আলোচক বিএনপির বরিশাল জেলার আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু, কবিতা পরিষদ বরিশালের সভাপতি মুস্তফা হাবিব, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম বরিশালের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ কে. এম. জাহিদুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশালের সমন্বয়ক সাব্বির হোসেন সোহাগ। আলোচকরা তুলে ধরেন ১৬ ই ডিসেম্বর ও ৩৬ জুলাই বিজয়ের অনুভূতি। বলেন, ৭১ আমাদের পথপ্রদর্শক ২৪ আমাদের চেতনা। এই বিজয় ধরে রাখতে সমমনা সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই।
কবি ও সাংবাদিক আযাদ আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় দ্বিতীয় দিনের পুরো আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি কবি আব্দুল হাই। বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক জোট এর আয়োজনে বরিশাল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও সংসদ, চন্দ্রদ্বীপ শিল্পীগোষ্ঠী, স্বরলিপি কালচারাল একাডেমি, কণ্ঠশীলন একাডেমি, মুক্তবুলি পাঠক ফোরাম, হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী, সূচনা সাংস্কৃতিক সংসদ এতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। কোনোরকম বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই দেশাত্মবোধক জনপ্রিয় সব গানগুলো পরিবেশন করে বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। সাথে ছিলো বিজয়ের উল্লাসে কবি নজরুল, আল মাহমুদ এবং হেলাল হাফিজ এর কবিতার আবৃত্তি।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই তিন দিনব্যাপী বিজয় উৎসবের যাত্রা শুরু হয়। প্রধান আলোচক ছিলেন অমৃত লাল দে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুল হক। কবি নয়ন আহমেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন কবি জামান মনির, কবি জিল্লুর রহমান জিল্লুর, কবি আরিফা ইয়াসমিন অজান্তা, কবি রুদ্র শামীম সহ আরো অনেকে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশী সাংস্কৃতির বিকাশ ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বরিশালে আত্মপ্রকাশ করে “বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক জোট”। বরিশাল শিল্পকলা একাডেমীর উম্মুক্তমঞ্চে “বাংলাদেশী সাংস্কৃতির ধারক-বাহক স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংগঠকদের নিয়ে প্রস্তাবিত “বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক জোট” গঠন বিষয়ে উম্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক সংগঠক এস এম সাব্বির নেওয়াজ সাগর।
সুসংগঠিতভাবে বাংলাদেশী সাংস্কৃতির বিকাশ ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সভায় সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক জোট নামে একটি সার্বজনীন দেশজ সাংস্কৃতিক জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে এই সংগঠন আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।