4:24 pm , December 12, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) এর চলমান ও অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা চাইতে গিয়ে পানি সরবরাহ শাখার মোঃ আরাফাত হোসেন মনির কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে শ্রমিক নেতা ও ট্রেড লাইসেন্স ইন্সপেক্টর মোঃ আনিছুর রহমান। ঘটনার পরই আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কর্মচারী ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান কে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে সি.সি.ইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমানের কক্ষে প্রকাশ্যে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
আহত সূত্রে জানা গেছে, বিসিসি’র ফান্ডে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা রয়েছে। দুই সপ্তাহ পূর্বে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিসিসি’র প্রশাসক (বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার) কাছে ওই টাকার মধ্য থেকে চলমান ও অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা বাবদ ১০ কোটি টাকা দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়। প্রশাসক তাদের আশ্বস্ত করেছিল। শ্রমিক নেতা হিসেবে ঘটনার দিন ওই বিষয়টি অবগত করতে বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কক্ষে যান আনিছুর রহমান। কিন্তু বিসিসি’র পানি সরবরাহ শাখার মোঃ আরাফাত হোসেন মনির ইচ্ছাকৃতভাবে গিয়ে তর্কে জড়ায়। একপর্যায় তার সাথে হাতাহাতি হয়। পূর্ব থেকেই আনিছুর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত জেনেও মনির একপর্যায় তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ফ্লোরে পরার পর আনিছুর রহমান কিছু মনে নেই বলে তিনি জানান। এরপরে চোখ খুলে দেখতে পান তিনি হাসপাতালের সি.সি.ইউ বিভাগে ভর্তি।
বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান বলেন, সাড়ে তিনটার সময় কাজ সেরে ভাত খেতে গিয়েছিলাম। এসে শুনি একটি ঘটনা ঘটে গেছে। পরে অসুস্থকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম।
অভিযুক্ত আরাফাত হোসেন মনির এর ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৭১১২৭৭৩৫২ নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও ধরেনি। এমনকি তার ব্যবহৃত ওই নম্বরে হোয়াটস্অ্যাপে পরিচয় দিয়ে ঘটনার খুদে বার্তা দিলেও সাড়া দেয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসি’র একাধিক শ্রমিক জানায়, গত ৫ আগস্টের পর পানি সরবরাহ শাখার মোঃ আরাফাত হোসেন মনির ক্যাডার স্টাইলে অফিসের দায়িত্ব পালন করছে। তার ব্যবহার সভ্য নয়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অসাদাচরণ করে আসছে। তারমধ্যে এই সংগঠনের কার্যক্রম তার চোখের বিষে রুপান্তরিত হয়েছে। এই মনির পানি সরবরাহ শাখায় দায়িত্বে থাকলেও বিসিসির অধিকাংশ দপ্তরে নাক গলায়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে মনগড়া কার্যক্রমে লিপ্ত রয়েছে। এক কথায় বিনএনপির নাম ভাঙিয়ে ৫ আগস্টের পর বিসিসিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে শুরু করেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে বৃহস্পতিবার বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল বারী জানান, এবিষয়ে বিসিসি’র প্রশাসক (বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার) এর সাথে বসবো। স্যার অসুস্থ রয়েছে।