3:55 pm , December 8, 2024
![](https://ajkerparibartan.com/wp-content/uploads/2022/11/map.jpg)
রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী প্রতিবেদক ॥ মাত্র ২ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে কাউখালী উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জন রোগী দেখছেন মাত্র দুইজন চিকিৎসক। ভর্তিকৃত আরো অর্ধশতাধিক রোগীর দেখভালও তাদের হাতে। একে তো চিকিৎসক সংকট অন্যদিকে ভবন সংকট তার উপর রয়েছে ঔষধ সংকট। সব মিলিয়ে কাউখালী উপজেলার বাসিন্দারা কাঙ্খিত চিকিৎসা না পেয়ে বাধ্য হয়ে ছুটছেন অন্যত্র। ফলে ভেঙ্গে পড়েছে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসা সেবা।
১৪ জন ডাক্তারের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ২ জন। অত্র উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন এই ২ জন চিকিৎসক। এর বাইরে কাউখালী উপজেলার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় ও মূল ভবন ভেঙ্গে ফেলায় ঝুঁকি নিয়ে একটি জরাজীর্ণ অস্থায়ী ভবনে চলছে এর কার্যক্রম। ওয়ার্ডে ৩১টি বেড থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২০টি। কখনো বা একটি বেডে ২/৩ জন রোগী থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে হাসপাতালে এক্সরেসহ জরুরী কোন পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজনীয় ঔষধ নেই। ফলে চিকিৎসা সেবা দিতে একদিকে যেমন হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ ঠিক অন্যদিকে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা লোকজন।
একযুগ ধরে ভবনটি নির্মানের জন্য দুই বার টেন্ডার হয়। কিন্তু কাজ না করেই টাকা নিয়ে চলে যায় ঠিকাদার। প্রভাবশালী হওয়ায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে অস্থায়ী ভবনে আতঙ্কের সাথে একত্রে বাস করছেন রোগী, চিকিৎসক আর স্টাফরা।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মুক্তা বেগম বলেন, হাসপাতালে নির্ধারিত চিকিৎসক না থাকায় আমাদের চিকিৎসা সেবা নিতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় আমরা চিকিৎসক না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলায় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য চলে যাই। সেবা গৃহীতা আবুল বাশার বলেন, আমাদের মত গরিব-রোগীদের অন্য উপজেলায় যেয়ে চিকিৎসা করা সম্ভব না। ফলে আমরা চিকিৎসা সেবার অভাবে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হই। কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুজন সাহা বলেন, মাত্র দুইজন চিকিৎসক দিয়ে কিভাবে আমরা সেবা দিতে পারি? এখানে কর্মরত মেডিকেল অফিসাররা দিনে ও রাতে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। জনবলের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মিজানুর রহমান চিকিৎসক সংকটসহ চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অতি শিঘ্রই চিকিৎসক সংকট এর বিষয়টি সমাধান করা হবে।