3:54 pm , December 8, 2024
খবর বিজ্ঞপ্তি ॥ দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে বসতঘর ভেঙ্গে মালামলা লুটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা উত্তোলন না করলে আসামীরা বাদীর বংশ নির্বংশ করে দেয়ার হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনটি করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ২ নং লতা ইউনিয়নের চরসোনাপুর গ্রামের কৃষক মোঃ নিজাম উদ্দিন তালুকদার (৫৫)।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে নিজের এলাকায় যেতে পারছি না। গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রয়েছি। সংসারের অবস্থাও করুন। আমার ৪ ভাইও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রতিদিন আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে মোঃ হুমায়ুন কবির শাহীনের লোকজন। বছর কয়েক পূর্বে একই গ্রামের মোঃ সরোয়ার চাপরাশি ২২ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিলমূলে প্রতিবেশী মোঃ আছিবুর রহমান শিকদার এর কাছে বিক্রি করেন। এ জমির মধ্যে থাকা ভাগিনার উঠানো বসতঘরে আমি বাস করি। ক্রেতা চট্টগ্রামে ব্যবসা করায় ক্রয়কৃত ওই সম্পত্তি সহ ক্রেতার পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছি আমি নিজাম উদ্দিন তালুকদার। সম্পর্কে আছিবুর রহমান শিকদার আমার ভাগিনা হয়। গত ৫ আগস্ট দেশে গণঅভ্যুত্থানে আ.লীগ সরকারের পতনের প্রথম সপ্তাহে মেহেন্দিগঞ্জের সোনাপুর গ্রামে বেপোরোয়া হয়ে উঠে মোঃ হুমায়ুন কবির শাহীন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা?। ওই ২২ শতাংশ জমির পাশে থাকা ৩৮ শতাংশ জমিতে বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয় মোঃ হুমায়ুন কবির শাহীন গং। এই ৩৮ শতাংশ জমি আর্মির মৃত. সোবেদার বেল্লাল হোসেন তালুকদারের ওয়ারিশ সকলে মিলে প্রতিবেশী মোঃ আছিবুর রহমান শিকদার এর কাছে বিক্রি করেছিল। যা এলাকার সকলেই জানেন। বেড়া দেয়ার বিষয়ে কাজিরহাট থানায় অভিযোগ দিলে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পরে ওই বেড়া ভেঙ্গে ফেলা হয়।
বাড়ির দরজায় আমার মুদির দোকানের পাশাপাশি ধান-চাল ভাঙ্গার রাইস মিল পরিচালনা সহ বসতঘরে থাকতে হলে হুমায়ুন কবির শাহীন কে ২ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে সব কিছু ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়। দাবিকৃত এই চাঁদার টাকা না দেয়ায় হুমায়ুন কবির শাহীন তার লোকজন নিয়ে চলমান বছরের ১৮ নভেম্বর রাত তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত আমার বাস করা বসতঘর ভেঙ্গে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তবে মুদির দোকান ও ধান-চাল ভাঙ্গার রাইস মিলে লুটপাটের ঘটনা না ঘটলেও দোকান বন্ধ থাকায় অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে চলমান বছরের ২১ নভেম্বর বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। দায়েরকৃত মামলার আসামীরা হলেন- চর সোনাপুর গ্রামের মৃত সেকান্দার আলী হাওলাদারের পুত্র মোঃ হুমায়ুন কবির শাহীন, মৃত সেরাজুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে মোঃ সোহেল হাওলাদার ও মোঃ হুমায়ুন কবির শাহীনের ছেলে মোঃ হৃদয় হাওলাদার সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন। বিষয়টি স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
সংবাদ প্রকাশের পরদিনই হুমায়ুন কবির শাহীন গং মামলা উঠানোর জন্য ১৫ দিনের সময় দিয়েছে। আবার এই হুমকির বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে তার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। আমি সহ আমার ৫ ভাইদের ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়। বংশ নির্বংশ করে ফেলবে। প্রতিপক্ষ আমার উপর নানাভাবে অত্যাচার শুরু করছে। এমনকি অনান্য একাধিক মামলায় আমাকে সহ পরিবারের সদস্যদের ষড়যন্ত্র পূর্বক আসামী করা হয়েছে।তবে দায়েরকৃত ওই সব মামলার বাদীরা পুলিশকে থানায় গিয়ে বলেছেন- এ নামে (নিজাম উদ্দিন তালুকদার ও তার ভাই ও তার ভাইয়ের ছেলে) ব্যক্তির নামে আমাদের (বাদী) কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু হুমায়ুন কবির শাহীন এলাকায় ঘোষণা দিয়েছে- গ্রাম সহ ইউনিয়ন বা মেহেন্দিগঞ্জের যেখানেই হত্যার ঘটনা ঘটবে সেই ঘটনায় আমাকে (নিজাম উদ্দিন তালুকদার) আসামী করে ফাঁসানো হবে। তাই আমি গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে রয়েছে। বিষয়টিতে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ন্যায্য বিচার চাই।
অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির শাহীন মুঠোফোনে জানান, সবকিছুই ষড়যন্ত্র। উল্টো আরো আমি হয়রানীর শিকার হচ্ছি।