জোড়াতালি দিয়ে চলছে বরিশাল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় জোড়াতালি দিয়ে চলছে বরিশাল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় - ajkerparibartan.com
জোড়াতালি দিয়ে চলছে বরিশাল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়

3:46 pm , December 8, 2024

হেলাল উদ্দিন ॥ কোনভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলছে বরিশাল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়। পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী থাকলেও নেই আনুপাতিক শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ। রয়েছে একাডেমিক ভবনের অভাব।
এমন অবস্থায় শিক্ষকদের আপ্রান প্রচেষ্টা ও কিছু সমাজসেবক ও রোটারী ক্লাবের ভূমিকার কারনে চলছে অতিগুরুত্বপূর্ন এ স্কুলটি।
জানাগেছে, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়বরিশালের একমাত্র বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়। এসময় নগরীর বেশ কয়েকজন সমাজসেবক ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগীতায় চলছিলো স্কুলটি। এর মধ্যে অন্যতম সুরভী শিপিং লাইন্স কর্তৃপক্ষের মহানুভবতার কারণে এটি স্থায়ী ক্যাম্পাসের রুপ পায়। সুরভী শিপিং লাইন্সের পক্ষ থেকে ১০ লাখ অনুদান দেওয়া হয়। শিক্ষার্থী কম থাকায় আগে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি স্কুলটি পরিচালনা করতে। ধীরে ধীরে বাড়ে শিক্ষার্থী। স্কুলটি নিবন্ধিত হয় সমাজ সেবার অধীনে। সরকারিভাবে মাঝে মধ্যে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে ভাতাও মেলে কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। স্কুলটির বর্তমান অবস্থান নগরীর ঝাউতলা দ্বিতীয় গলিতে। জেলা প্রশাসকের দেওয়া জমিতে একতলা একটি ভবনে চলছে এর কার্যক্রম। ৬ তলা ফাউন্ডেশন থাকলেও অর্থের অভাবে সেটি করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব কিছু কোনমতে মানিয়ে চলা সম্ভব হলেও মূল সমস্যা দাঁড়িয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ সংকটে। বর্তমানে স্কুলটিতে ১৬০ জনের মত শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতি ৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও মোট শিক্ষক রয়েছে ৫ জন। তারমধ্যে ৩ জন নিয়মিত ও ২ জন খন্ডকালীন।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সিরাজুম মুনির টিটু বলেন, আমাদের স্কুলটি অন্য ১০টি সাধারন স্কুল থেকে আলাদা। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে আমাদের শিক্ষকদের প্রচুর সময় ও শ্রম দিতে হয়। কারন এখানের সকল শিক্ষার্থীই অটিস্টিক। তাই আমাদের অনেক শিক্ষক প্রয়োজন। কিন্তু সরকার থেকে বেতনপ্রাপ্ত শিক্ষক রয়েছে মাত্র ৩ জন। ২ জন রয়েছে অনিয়মিত। তারা সরকার ও স্কুল থেকে কোন বেতন পায় না।
অটিস্টিক শিক্ষার্থীদের মানসিক বিনোদন খুবই প্রয়োজন। তাই স্কুলে প্রচুর শিক্ষা, বিনোদন ও খেলাধুলার উপকরণ থাকা দরকার। কিন্তু আমাদের স্কুলটিতে তা নেই বললেই চলে। এতে শিক্ষার্থীদের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার বরাদ্দ দিলে  স্কুলটির ভবন বর্ধিত করা সম্ভব। মানুষের অনুদানে যা করা খুবই অসম্ভব কাজ।
তাই সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবী জানাচ্ছি স্কুলটির দিকে সু-নজর দেওয়ার।
প্রসঙ্গত এই স্কুল থেকে একাধিক শিক্ষার্থী বিশেষ অলিম্পিক গেমস এ অংশ নিয়ে স্বর্ণ,রৌপ্য ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সক্ষমতা অর্জন করে অপোসোনিন  কোম্পানীতে কাজ করছেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT