3:46 pm , December 5, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষে স্প্রীডবোটের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এক পুলিশ কনষ্টেবল আহত অবস্থায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে কীর্তনখোলা নদী ও লাহারহাট খালের সংযোগস্থল জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে থাকা বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই ওমর ফারুক বলেন, যতটুকু তথ্য পেয়েছি এখনো চারজন নিখোঁজ রয়েছে। তবে তাদের পরিচয় পাননি বলে জানান এসআই ওমর ফারুক। নিহত যাত্রীর নাম জালিস মাহমুদ (৫০)। তিনি ভান্ডারিয়ায় বাসিন্দা এবং ভোলা জেলায় স্কয়ার ফুডে কর্মরত ছিলেন। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন পুলিশ কনষ্টেবল হলেন মনসুর আহমেদ (৩০)। সে ভোলার দৌলতখান থানার কনষ্টেবল। প্রত্যক্ষদর্শী জনতার হাটের চায়ের দোকানী মো. রাহাত বলেন, বিকেল তিনটার দিকে নদীর মধ্যে শব্দ হয়। যেদিক থেকে শব্দ আসে, সেইদিকে তাকিয়ে একটি বাল্কহেড যেতে দেখি। আর কিছু দেখতে পাইনি। কিছু সময় পর দেখি কয়েকজন লাইফ জ্যাকেট পড়া ব্যক্তি সাঁতার কেটে তীরে আসার চেষ্টা করছে। দ্রুত ট্রলার নিয়ে ৬ জনকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়। এছাড়াও লাহারহাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি স্প্রীডবোট আরো দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে গেছে।
স্প্রীডবোট মালিক সমিতির একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে ১০জন যাত্রী নিয়ে স্প্রীডবোটটি বরিশাল নগরীর ডিসিঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। লাহারহাট খাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে প্রবেশ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই মালিকের দাবি তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা বরিশাল সদর নৌ থানার এসআই ওমর ফারুক বলেন, দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। আহত অবস্থায় একজন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এখন পর্যন্ত চারজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে। স্প্রীডবোটটি উদ্ধার ও নিখোঁজদের সন্ধান চলছে।