3:58 pm , November 30, 2024
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বরিশালের দরজায় আরো দিন দশেক আগে শীত কড়া নাড়তে শুরু করলেও মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর বিস্তৃতি অব্যাহত আছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় যোগ হচ্ছে অগনিত নাম। নভেম্বরের ৩০ দিনে বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত ২ হাজার ৫৪১ ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। মৃত্যুর এ সংখ্যাটা অক্টোবরের চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশী। নভেম্বরে সরকারি হাসপাতালে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটাও ছিল আগের মাসের চেয়ে ১০ জন বেশী। ফলে ইতোমধ্যে বরিশাল অঞ্চলের সরকারী হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮ হাজারে পৌঁছেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫। নভেম্বরের শেষ দিনেও বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৯৮ জন সহ পৌনে ৩শরও বেশী ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সাধারন চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে খুব খারাপ অবস্থা না হলে কোন ডেঙ্গু রোগীই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। ফলে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেয়া রোগীর অন্তত ৩গুন বিভিন্ন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ঘরেই চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এ হিসেবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২৫ হাজার অতিক্রম করেছে বলে মনে করছেন বেশীরভাগ চিকিৎসক।
এবার অক্টোবর পেরিয়ে পুরো নভেম্বরজুড়ে ডেঙ্গুর দাপট অব্যাহত থাকলেও বিগত বছরগুলোতে সেপ্টেম্বরের শেষভাগে এ অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেতে দেখা গেছে। কিন্তু এবার বিলম্বিত বর্ষণে ভর করে এডিস মশার দাপটে গোটা প্রাণঘাতি রোগ ডেঙ্গুর সংক্রমন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সিটি করপোরেশন সহ বিভিন্ন পৌরসভা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এডিস মশা নিয়ন্ত্রনে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এডিস মশা নিয়ন্ত্রনে সফল হতে না পারায় শীতেও ডেঙ্গু উদ্বেগ ছড়াচ্ছে।