3:45 pm , November 29, 2024
জুম্মাবার
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মহানগরীর উল্লেখযোগ্য একটি মসজিদ দারুল মোকাররম জামে মসজিদ। এটি নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডের ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায় অবস্থিত। অনেকটা ভাঙ্গাচুরা দ্বিতল বিশিষ্ট এই মসজিদের উন্নয়ন নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে। তবে মসজিদের খতিব তার জুম্মার বয়ানে কখনোই মসজিদের উন্নয়নে দানের কথা বলেন না। তিনি বলেন, আল্লাহর ঘর, আল্লাহ যদি কবুল করেন, তাহলে এটা বরকতময় হবে। অদৃশ্য থেকে দান আসবে তখন। আর আল্লাহ যদি কবুলই না করেন তাহলে শত কোটি টাকা দান পেলেও মসজিদ বরকতময় হবে না। এটা ছিলো একান্ত সাক্ষাৎকারে ঈমাম সোহরাব হোসেন এর ব্যক্তিগত বক্তব্য । ২৯ নভেম্বর জুম্মার খুতবায় তিনি বলেন, যারা বলেন- দুনিয়ায় জান্নাত আর জাহান্নাম নেই। এসবই পরকালের বিষয়। তারা জেনে রাখুন দুনিয়ায়তেও জান্নাত ও জাহান্নাম দুটোই অনুভব করা যায়। মোমিন বান্দার জন্য মনের শান্তি, মনের তৃপ্তি হচ্ছে দুনিয়া বা জাগতিক শান্তি। আর অবিশ্বাসী ও নাফরমান বান্দার জন্য মনের অস্থিরতা, অশান্তি হচ্ছে জাগতিক শাস্তি। মনের মধ্যে প্রশান্তি অনুভব করাটাই দুনিয়ার জান্নাত।
ঈমাম সোহরাব হোসেন এসময় পবিত্র কুরআন থেকে আয়াত পাঠ করে তা ব্যাখ্যা করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এসেছে এক নূর এবং উজ্জ্বল কিতাবও। এর মাধ্যমে আল্লাহ সেসব লোককে শান্তির পথে পরিচালিত করেন, যারা তার সন্তুষ্টির পথে চলে। আর তিনি নিজ আদেশে তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যান এবং সরল সুদৃঢ় পথে তাদের পরিচালিত করেন’ (সুরা মায়েদা, আয়াত: ১৫-১৬)
এই শান্তির পথপ্রদর্শক নবী করিম (সাঃ) এর অনুসরণ এর বিকল্প নেই উল্লেখ করে সোহরাব হোসেন বলেন, মোমিন বান্দার জন্য শীতের রাত্র হচ্ছে বসন্তকাল। এই রাতের তাহাজ্জুদ আদায় করা হচ্ছে আল্লাহর সান্নিধ্যে থাকার অন্যতম উপায়। এসময় তিনি নবী করিম (সাঃ) এর নামাজ ও তাহাজ্জুদ আদায় এর স্বরূপ তুলে ধরেন। বলেন, বিনয়ের সাথে ধীরে-সুস্থে সময় নিয়ে নামাজ আদায় করতে পারলে মনে শান্তি পাবেন। নামাজের সাথে মোহাব্বত তৈরি হবে। নামাজের সাথে যার মোহাব্বত সে কখনো অন্যায় করতে পারে না।
পবিত্র কোরআন মাজিদ এই মৌলিক বিষয়টিকে এভাবে বর্ণনা করেছে, ‘হৃদয়ে প্রকৃত ও সত্যিকারের শান্তি ও স্বস্তি আল্লাহতায়ালার স্মরণেই পাওয়া সম্ভব’ (সুরা রাদ: আয়াত ২৮) বলে জুম্মার বাংলা আলোচনা শেষ করেন ঈমাম সোহরাব হোসেন।