3:48 pm , November 28, 2024
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করার কারণে দুইজনকে কুপিয়ে জখম ও বাড়ি নির্মাণসামগ্রীসহ নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে একদল সন্ত্রাসী। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের রূপাতলীর ধান গবেষণার পাশে কাটাখালী খালপার সড়কে। এতে দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এই ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার বাদী মোঃ গোলাম মাসুদ আকন জানিয়েছেন, গত ২৭ নভেম্বর বিকালে কাটাখালী খালপার সড়ক সরদার বাড়ী লেন সৈয়দ মোঃ হাসান এর বাড়ীর পূর্ব পাশে নিজ জমিতে নির্মাণ কাজ করতে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে পড়েছি।
তিনি বলেন, আমার জমিতে সম্প্রতি ৪র্থ তলা পাকা বিল্ডিং তৈরীর জন্য মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার (৪৫),কে ঠিকাদার নিয়োগ করি। আমার ছেলে রিফাত আকন বিল্ডিং এর কাজ দেখা শুনা করে। ঐ জমিতে ভবন নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে সন্ত্রাসী নাঈম (২৫), পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, সুজন বা ড্যান্ডি সুজন (২৮), মোঃ বাহাদুর (৩০), উভয় পিতা- মৃত শাহজাহান, নাসিম (২৮), পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, মোঃ নাজমুল ইসলাম বাজি (২২), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম হাওলাদারসহ আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী আমার ও ঠিকাদার এর নিকট চাঁদা দাবী করে আসছে। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে বিন্ডিং এর কাজ করতে দেবে না বলে হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় ২৭ নভেম্বর বিকালে ভারী অস্ত্র, চাপাতি, লোহার রড, লাঠি সোটা নিয়ে নির্মাণাধীন বাড়িতে প্রবেশ করে এবং কাজ বন্ধ করে দেয়। তারা রিফাত ও নাসির এর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অস্বীকার করলে তৎক্ষনাৎ দুজনকে এলোপাথারীভাবে মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে। এই সময় আমার আত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দা মঞ্জুরুল ইসলাম শাওন (৩০), পিতা-মোঃ মোসলেম আলী হাওলাদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাসী নাঈমকে চাঁদা চাওয়ার কারন জিজ্ঞাসা করলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারপিট মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আহতদের সকলের পকেট হাতিয়ে টাকা-পয়সা সব নিয়ে যায়। আমার ছেলে রিফাতের কাছে মালামাল কেনার জন্য নগদ ২৬,০০০/- (ছাব্বিশ হাজার) টাকা ছিলো। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ নাঈম তা নিয়া যায়। শাওন বাধা দেওয়ার কারণে নাঈম তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তার বুকের বাম পাশে কোপটি লেগেছে এবং সে গুরুতর জখম হয়। চিৎকার চেচামেচি শুনে আশেপাশের মানুষ এগিয়ে আসলেও সন্ত্রাসীরা কোনো ভয় পায়নি বরং সবাইকে ভয় দেখিয়ে তাদের সামনেই চাঁদা দাবি করে এবং বলে, অবশিষ্ট চাঁদার টাকা না দিলে আমার বিল্ডিং এর কাজ বন্ধ রাখতে হবে। যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা দুটি ভ্যানে আমার নির্মাণাধীন বাড়ির ৬৫ বস্তা সিমেন্ট, ২. বান্ডিল রড, যাহার মোট মূল্য ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা নিয়া যায়। এ সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করি। বর্তমানে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান মাসুদ আকন।