3:39 pm , November 27, 2024
প্রতিদিন অবৈধভাবে লাখ টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে
হেলাল উদ্দিন ॥ বরিশাল মহানগর যুবদল নেতা জহির সিকদার। তিনি পোর্টরোড মৎস্য আড়তের একজন ব্যবসায়ী। ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি শুরু করেন সুবিধাবাদী এ ব্যবসায়ী। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের হয়ে কাজ করেন জহির। তিনি দলবল নিয়ে সম্প্রতি বাজারের একটি অংশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তার সাথে রয়েছেন মহানগর মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব কামাল সিকদার।
নগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দাবী জহির সিকদার আওয়ামীলীগের সময় তাদের সাথে মিলেমিশে ব্যবসা করেছে। এখন বিএনপির নাম ব্যবহার করে অনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করেছে। তার কর্মকান্ডে বিএনপি নেতারা বিব্রত। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, পোর্ট রোড মৎস্য বাজারের বৈধ ইজারাদার মৎস্য শ্রমিকলীগ নেতা হাবীব খান। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। এই সুযোগে বাজারের অঘোষিত দখলদার বনে যান জহির ও কামাল সিকদার। তাদের নেতৃত্বে শুরু হয় নতুন করে চাঁদাবাজী। সূত্র জানিয়েছে বাজার ও বাজারের সামনে রাস্তায় যত অস্থায়ী দোকান রয়েছে প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০ থেকে একশ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে এই দুই নেতার অনুসারীরা। তাতে দৈনিক এই সিন্ডিকেট প্রায় লাখ টাকা উত্তোলন করে। সম্প্রতি বাজার দখল নিতে মার্কেট ভাঙ্গার কাজ শুরু করে। তাদের দাবী এই বাজার মৎস্য আড়ৎদার এসোসিয়েশনসহ কয়েকটি সমিতির নিজস্ব ক্রয়কৃত সম্পত্তি। তাই পুরনো বাজার ভেঙ্গে নতুন করে তৈরী করবেন। যদিও খবর পেয়ে বিসিসি কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
সিটি করপোরেশনের হাট বাজার শাখার তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলাম বলেন, বাজার ভাঙ্গার খবর পেয়ে আমরা সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। একই সাথে তাদের মালিকানার সকল কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, আমরা কাজ বন্ধ করে তাদের কাগজপত্র পর্যবেক্ষন করছি। এ বিষয়ে প্রশাসক মহোদ্বয়ের সাথে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে বাজারে কোন ধরনের কাজ চলবে না।
মহানগর মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব কামাল সিকদার বলেন, বাজারে আমাদের মালিক সমিতির ২০ শতাংশ জমি রয়েছে। তারপরও এতদিন আওয়ামী লীগের লোকজন সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে লিজ নিয়ে ভোগ দখল করেছে। এখন আমরা আমাদের মালিকানাধীন জমি দখলে নেব। আর সিটি করপোরেশন তাদের জমি তদারকি করবে। আমরা সকল কাগজপত্র নিয়ে সিটি করপোরেশনের সাথে বসেছি। তারা এ বিষয়ে দু/একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ চাঁদাবাজী, দখল বানিজ্য করবে এটা সহ্য করা হবে না। কামাল এবং জহির দুজনই আমাদের দলের লোক। কিন্তু সংগঠন বিরোধী কোন কাজ করলে ছেড়ে দেওয়া হবেনা। আমরা তাদের কর্মকান্ড নজরে রেখেছি।