3:37 pm , November 27, 2024

বিএম কলেজ ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পৃথক বিক্ষোভ

পরিবর্তন ডেস্ক ॥ ইসকন নিষিদ্ধ করা ও চট্রগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মহাসিন মন্টু, আবুল কালাম আজাদ , শহীদ হোসেন, মেহেদী হাসান শাহিন, মীর জাহিদুল কবির, এইচএস তসলিম উদ্দীন, হাফিজ আহমেদ আহমেদ বাবলু প্রমুখ। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় বরিশাল আদালত প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে তারা। পরে আদালত প্রঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর কাকলীর মোড় এলাকায় গিয়ে সমাবেশ করে। এসময় বক্তারা বলেন, ইসকনের সঙ্গে স্বৈরাচারী সরকারের দোসররা মিলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। চট্রগ্রামে যে আইজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে তার দ্রুত বিচার দাবি করেন বক্তারা।এর আগে দুপুর ১২টায় ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থীরা আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যার বিচার এবং ইস্কন নিষিদ্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে বিক্ষোভ করে। এছাড়াও মঙ্গলবার রাত ও বুধবার সকালে কয়েক দফায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে ইস্কনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।প্রসঙ্গত, গত সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় তার অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্রের অনুসারীদের হামলায় নিহত হন সাইফুল ইসলাম আলিফ।নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন। আলিফ লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।