3:18 pm , November 22, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ এবার বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের নামে কর্মসূচী দিয়ে প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ ঘরোনার চার প্রতারকের বিরুদ্ধে। স্বৈরশাসক আওয়ামীলীগ আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকা এরা হচ্ছে : এস.এম. বদরুল আলম, জাহিদআলম, সঞ্জীব কুমার সিংহ, শুকুর আলী। এদের সাথে যুক্ত করা হয়েছে এক নারীকেও। তিনি হচ্ছে সোনালী বেগম। স্বৈরশাসকদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলা ওই সকল চাঁদাবাজ ও ডাকাতদের প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়ে সভা করেছে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন এবং কিষানী সভা। গতকাল শুক্রবার নগরীর জেলা শাখা কার্যালয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সাধারন সম্পাদক ও জেলা শাখার সভাপতি আন্তর্জাতিক ভূমিহীণ নেতা হারুন ভান্ডারী। বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কিষানী সভার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী ও জেলা শাখার সভানেত্রী রেহানা বেগম মিতু ও জেলার সাধারণ সম্পাদক আঃ হালিম মুহুরী, সাধারন সম্পাদিকা রেনু বেগম, প্রচার সম্পাদক ইউসুফ আকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, প্রচার সম্পাদিকা হিরা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদিকা মনি বেগম, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক সোহরাব সিকদার ও জেলা সদস্য অবিনাশ মিস্ত্রীসহ অন্যান্যরা। বক্তারা বলেন, আওয়ামীলী থেকে প্রকাশ্যে আসতে আগামীকাল শনিবার একটি প্রতারক চক্র কৃষক ফেডারেশনের নামে কর্মসূচী দিয়েছে। তারা মূলতঃ আওয়ামীলীগ আমলে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। সেই অপকর্ম ঢাকতে এবং প্রকাশ্যে আসতে এখন কৃষক ফেডারেশনের ব্যানার ছিনতাই করছে। বক্তারা বলেন, বদরুল আলম আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। সে কৃষক ফেডারেশনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সে আওয়ামীলীগ আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিহীণদের নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি টাকা চুরি করেন। এমনকি বিদেশীদের কাছ থেকে টাকা এনে তা নিজের পকেটে রাখেন। বিষয়টি প্রমানিত হওয়ার পর ২০১৭ সারে ভূমিহীনদের আর্ন্তজাতিক কমিটি থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়। এমনকি বিদেশে একটি কর্মসূচীতে গেলে সেখানে তার মাথা ন্যাড়া করে দেন বিদেশীরা। এমনকি তাকে ভূমিহীণ কমিটি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে দলের সকল দায়িত্ব পালন করে আসছেন ভূমিহীণ নেতা হারুন ভান্ডারীসহ কমিটির সদস্যরা। আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত শুক্কুর আলীর বিরুদ্ধে ১৯৯২ সালে ডাকাতি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার পর শুক্কুর নারায়নগঞ্জে পালিয়ে গিয়ে সেখানে আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিল। তৎকালীন আওয়ামীলীগ সংগঠনের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় তার সকল অপকর্ম ঢাকা পড়ে যায়। ৫ আগস্টের পর আওয়ামীলীগ থেকে বের হয়ে কৃষক ফেডারেশনের ব্যানারে কর্মসূচী পালন করতে চাইছে ডাকাত শুক্কুর। আওয়ামীলীগ আমলে সঞ্জীব কুমার সিংহ ছিলো আনসার কমান্ডার। আওয়ামীলীগ ঘরোনার হওয়ায় তাকে পুরস্কৃতও করা হয়। কমান্ডার হওয়ার সাথে সাথে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের দায়ে তাকে আনসার থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও তার চাঁদাবাজি থেমে থাকেনি। যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে চলে চাঁদাবাজিসহ সকল ধরনের অপকর্ম। বর্তমান সরকারের আমলে পালিয়ে থাকার পর প্রকাশ্যে আসতে কৃষক ফেডারেশনের নাম ব্যবহার করে কর্মসূচী দেয়া হয়েছে। কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি হারুন ভান্ডারী বলেন, যারা এ কর্মসূচী দিয়েছে তারা মূলতঃ আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ওই দলের লোক। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। কোনভাবে প্রকাশ্যে আসতে না পেরে এখন কৃষক ফেডারেশনের ব্যানার ছিনতাই করে কর্মসূচী দিয়েছে। তারা ওই কর্মসূচীর প্রতিবাদ জানানোর সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষনা দেন।