4:00 pm , November 20, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাজনীতিতে দেউলিয়া হয়ে গেছে এমন কিছু লোক বাবুগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপির নাম করে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বিএনপির নামে বিষাদগার করে বেড়াচ্ছে। তার ৫ আগষ্টের আগে বিভিন্ন দলের সাথে আতাত করে চলেছে। গত জাতীয় নির্বাচনে তারা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে। তারা এখন বিএনপিতে ঢুকতে চায়। তাদের বাবুগঞ্জে কোন অবস্থান নেই,দলে কোন পোস্ট পজিশন নেই। তারা এখন বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে তারা মিছিল করে। তাদের মিশন এখন আগামী নির্বাচনে বিএনপি যাতে জয় লাভ করতে না পারে। আমরা তাদের দেহেরগতি তথা বাবুগঞ্জ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। তাদের যেখানে পাবেন সেখানে পাকরাও করে থানায় হস্তান্তর করতে হবে।
বুধবার বিকালে ঢাকা-বরিশাল রাকুদিয়া নতুন হাট এলাকায় দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির একটি সভায় ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান ফারুক এসব কথা বলেন। যারা নবগঠিত কমিটি নিয়ে কথা বলে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি ছোট বেলা থেকে ছাত্র দলের রাজনিতির সাথে জড়িত আছি। ১৯৮৬ সালে আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ এর ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৮ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯০ সালে রহমতপুর কৃষি কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা ছাত্রদলের সভাপতি, ১৯৯১সালে রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ছাত্র দলের নির্বাচিত ভিপি দায়িত্ব সুনামের সহিত সাথে পালন করি, পরবর্তীতে দেহের গতি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি, উপজেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি, বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক, বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য, বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করি। সর্বশেষ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেন বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি।
এসময় দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন হেমায়েত বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে ছাত্রদলের রাজনিতির সাথে জড়িত। ১৯৭৯ সালে সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দলের সভাপতি, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৫ পযন্ত শুনামের সহিত বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন, ২০০৫ থেকে বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন, পরবর্তী সময়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি, সর্বশেষ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেন বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। যারা আমাদের কমিটি নিয়ে কথা বলে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কি? আমরা ওই সকল সমালোচকদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।
জানাযায়, বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ৫ টিতে আহবায়ক কমিটি দিয়েছে উপজেলা বিএনপি। প্রতিটি কমিটি অনুমোদন দেওয়ার আগে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে কর্মসভার মাধ্যমে পুরানো কমিটি বিলুপ্ত করে তৃনমূলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সুলতান আহম্মেদ খান ও সদস্য সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স।
তারা আরো জানিয়েছেন, বিএনপি একটি বড় দল যেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী। সবাইকে পদ দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা ত্যাগী নেতাদের পদ পদবী দিয়েছি। যদি কোন ত্যাগী নেতাকর্মী কমিটি থেকে বাদ পরে থাকে তাদের পরবর্তীতে মূল্যায়ন করা হবে। আমরা দলের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। যারা কমিটি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য বিএনপিকে বিতর্কীত করা। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সুলতান আহম্মেদ খান বলেন, ১৭ বছর পর ইউনিয়ন কমিটিগুলো কর্মিসভা করে ভেঙে নতুন কমিটি করা হয়েছে। এখানে পকেট কমিটি করার কোন সুযোগ নেই। যারা পকেট কমিটি ও স্বজনপ্রিতির কথা বলছেন তারা গত ১৭ বছর কেউ মাঠে ছিলোনা। অনেকেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিস্কৃত অথবা পদ স্থগিত করা হয়েছে। আমরা বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী দলীয় কাজ করছি।
আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক বিএনপির সহ সভাপতি এ্যাড. জয়নুল আবেদীনের পরামর্শ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি একটি মহলের সহ্য না হওয়ায় তারা বিএনপিকে বিতর্কীত করতে অপ্রতিকর কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে ও অপপ্রচার চালাচ্ছে।