সাবেক ও বর্তমান দুই শিক্ষকের কর্মকান্ডে আবারো উত্তপ্ত হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় সাবেক ও বর্তমান দুই শিক্ষকের কর্মকান্ডে আবারো উত্তপ্ত হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় - ajkerparibartan.com
সাবেক ও বর্তমান দুই শিক্ষকের কর্মকান্ডে আবারো উত্তপ্ত হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়

3:44 pm , November 17, 2024

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ দুই শিক্ষকের বিতর্কিত কার্যক্রমে আবারো উত্যপ্ত হয়ে উঠেছে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এদের একজন হচ্ছেন ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তকৃত সহকারী শিক্ষক মাইদুল ইসলাম এবং অপর জন স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মহিউদ্দিন। গতকাল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করতে গেলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়ে এই দুই শিক্ষক। পরে সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। জানা গেছে হালিমা খাতুন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে রবিবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রবেশপথে দুজন শিক্ষক ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন শুরু করে। এসময় বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক তাদের মানব বন্ধনে বাধা দেয়। এতে করে শুরু হয় হট্টোগল। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। উ™ু¢ত পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মুহুর্তেই ক্যাম্পাসে ছুটে আসে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সাথে আসেন জেলা প্রশাসনের ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। এরপরই পরিবেশ শান্ত হয়। এদিকে স্কুলের সামনে মানববন্ধন না করতে পেরে সদর রোডে অশি^নী কুমার হলের সামনে চলে যায় ওই দুই শিক্ষক। সেখানে গিয়ে তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করতে চেষ্টা করে।
বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা বলেন এই দুই শিক্ষকের কারনে বিদ্যালয়টিতে আজ সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। প্রায়শই উত্যপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এতে করে বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও আতংকিত হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু সমাধান চাচ্ছি।
জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের সমস্যার সমাধান করা হবে। এই মুহূর্তে তদন্তাধীন বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে বহিস্কৃত শিক্ষক মাইদুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রায় ৮/৯ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। শিক্ষকদের কোচিংয়ের ৪০ ভাগ টাকা বিদ্যালয়ে দিতে হয়। গত মে মাসে তৎকালীন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক সেটি ৫০ ভাগে উন্নীত করেন। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় ৬ মে ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩ ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে যৌন হয়রানির মিথ্যা অভিযোগপত্রে সই করায়। ওই দিনই তদন্ত কমিটি গঠন এবং পরদিন সভা ডেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। চাকরি ফিরে পেতে তিনি আদালতে মামলা করেছেন। এ ছাড়া মানহানির মামলাও করেছেন। তিনি আরো প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গেলেই তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের ব্যবহার করা হয়। আজ আমরা কয়েকজন এর প্রতিবাদ করছিলাম।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT