3:55 pm , November 16, 2024
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে তুচ্ছ ঘটনায় দুই দফা হামলা চালিয়ে অসুস্থ মাসহ ৫জনকে পিটিয়ে আহত করেছে এক ছেলে। গত শুক্রবার বিকেলে ও শনিবার ভোররাতে উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের ভাঙারমোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের মৃত শাহজাহান সিকদারের ছেলে মানিক সিকদার লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে তার মা জাহানারা বেগম, বড়ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন সিকদার, ভাবী রেশমা বেগম ও ভাতিজি রাদিয়া আক্তার ও অনিকে আহত করেন। এঘটনায় জাহাঙ্গীর সিকদার বাদী হয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে মুলাদী থানায় ৭জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী জাহাঙ্গীর সিকদার জানান, তার ছোটভাই মানিক সিকদারের ছেলে রবিন কাউকে না জানিয়ে বাগানের কলা, সুপারি, পানের বরজ থেকে পান নিয়ে বিক্রি করে দেয়। এতে বাঁধা দিলে রাতের আধারে পানের বরজ, রান্নার চুলা, ঘরের জানালা ভেঙে বিনষ্ট করে। এনিয়ে দুইভাইয়ের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে মানিক সিকদার, ছেলে পরশ ও রবিন, স্ত্রী রুমাসহ ৫/৬জন জাহাঙ্গীর সিকদারের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রেশমা, মেয়ে রাদিয়া ও অনি বাঁধা দিলে তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে। তার অসুস্থ মা জাহানারা বেগম এনিয়ে কথা বললে তাকেও পিটিয়ে আহত করেন হামলাকারীরা। পরে হামলাকারীরা আহতদের ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। জাহাঙ্গীর সিকদার ৯৯৯নম্বরে ফোন দিলে মুলাদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হামলার ঘটনায় জাহাঙ্গীর সিকদার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুলাদী থানায় অভিযোগ করে বাড়ি যান। শনিবার ভোররাতে ফজরের নামাজ শেষে যাওয়ার পথে ইটপাটকেল মেরে জাহাঙ্গীরকে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আলম বলেন, ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় দ্বিতীয় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। জাহাঙ্গীর সিকদার বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখসহ ৭জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।